কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশের সুরক্ষাবলয়ে থাকা দেশের রাজধানী দিল্লিতে নারী সুরক্ষা শিকেয় উঠেছে। এবার আর কোনও অসহায় নারী নন। খোদ দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল শ্লীলতাহানির শিকার হলেন। তাঁকে ২০-৩০ মিটার টেনে নিয়ে গেল মদ্যপ গাড়িচালক। রাজধানী দিল্লিতে দেশের সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এইমসের বাইরে স্বাতী মালিওয়ালের হাত অভিযুক্ত গাড়ির ভিতর থেকে জানালা দিয়ে ধরে রেখেছিল। তখনই ঘটনাটি ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত গাড়িচালক হরিশচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও স্বেচ্ছায় আঘাত করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গাড়িচালক হরিশচন্দ্রের বয়স ৪৭ বছর। তিনি সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ভোর ৩টে ১১ নাগাদ তাঁদের টহলদার গাড়ির কাছে ফোনে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ করা হয় যে ব্যালেনো গাড়ির ভিতরে থাকা এক ব্যক্তি একজন মহিলার প্রতি অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি করছিল। ওই মহিলাকে রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি দক্ষিণ চন্দন চৌধুরি বলেন, 'আমাদের বিশেষ টহলদার গাড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। হাসপাতালের বাইরে পুলিশকর্মীরা একজন মহিলাকে দেখতে পান। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তিনি স্বাতী মালিওয়াল। তিনি পুলিশকে জানান যে একজন ব্যালেনো গাড়ি চালাচ্ছেন। ওই ব্যক্তি মাতাল অবস্থায় ছিলেন। গাড়িটি তাঁর কাছে থামানো হয়। অভিযুক্ত তাঁকে গাড়ির ভিতরে বসতে বলেন। তাঁদের বলার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল বলেই মালিওয়ালের ধারণা হয়।'
আরও পড়ুন- তেজস্বী সূর্য বিতর্ক: জরুরি দরজা কী, বিমানে থাকে কেন?
পুলিশ জানিয়েছে, 'মালিওয়াল গাড়ির ভিতরে বসার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলে, অভিযুক্ত গাড়ি নিয়ে কিছুটা দূর চলে যায়। কিন্তু, আবার ফিরে আসে। আর, মালিওয়ালকে ফের গাড়িতে বসতে বলেন। স্বাতী মালিওয়াল ফের তা প্রত্যাখ্যান করেন। আর, অভিযুক্তকে তিরস্কার করার জন্য তাঁর গাড়ির জানালার পাশে যান। সেই সময় গাড়িরচালক দ্রুত জানালা দিয়ে মালিওয়ালের হাত চেপে ধরে গাড়ি চালিয়ে দেয়। ওই অবস্থায় মালিওয়ালকে ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।' এই ঘটনার কথা জানতে পেরে রীতিমতো আতঙ্কিত দেশের রাজধানীতে বসবাসকারী ও নানা সূত্রে যাতায়াতকারী বহু মহিলাই।
Read full story in English