/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/cats-31.jpg)
জামিয়া দাঙ্গার মামলায় শারজিল ইমামের মুক্তি, CAA প্রতিবাদে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শারজিল ইমামকে দিল্লির সাকেত আদালত মুক্তি দিয়েছে। দিল্লির জামিয়ায় CAA বিক্ষোভ চলাকালীন, দাঙ্গাকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শারজিল ইমাম। তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও অসাংবিধানিক আন্দোলনের জেরে IPC-এর 143, 147, 148, 186, 353, 332, 333, 308, 427, 435, 323,341, 120B এবং 34 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়ে। ২০২০ সাল থেকে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গার একটি মামলায় শারজিল ইমাম জেলবন্দী রয়েছেন। পুলিশ বলছে যে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে ২০২০ সালের দাঙ্গার পিছনে শারজিলের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। তবে আদালত তাকে মুক্তি দিলেও ইমাম এখনও জেলবন্দী থাকবেন। কারণ তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের পূর্ব দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে।
Delhi's Saket court discharges Sharjeel Imam in Jamia Violence case registered in 2019.
Violence erupted after a clash between people protesting against Citizenship Amendment Act and police. Sharjeel was granted bail in 2021.
(File Pic) pic.twitter.com/FBIM1HIOD6— ANI (@ANI) February 4, 2023
২০২০সালের ফেব্রুয়ারিতে দাঙ্গার মাস্টারমাইন্ড শারজিল সহ আরও কয়েকজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। দাঙ্গায় মোট ৫৩ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি আহত হন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ এবং এনআরসি-ইস্যুতে উত্তেজক বক্তৃতা এবং হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে ইমামকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির সাকেত আদালত দিল্লির জামিয়া হিংসা মামলায় দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া এবং উত্তেজক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শারজিল ইমামকে মুক্তি দিয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, শাহিনবাগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীরা সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।তদন্তে নেমে পুলিশ শারজিল ইমামকে গ্রেফতার ২০২১ সালে তিনি জামিন পান। কিন্তু তার পর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার শুনানি এখনও চলছে।
শারজিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এ, দিল্লি পুলিশ দাঙ্গা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এই ক্ষেত্রে, IPC ধারা 143, 147, 148, 149, 186, 353, 332, 333, 308, 427, 435, 323, 341, 120B এবং 34 এর অধীনে শারজিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
জামিয়ার শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, বেশ কয়েকদিন ধরে চলে বিক্ষোভে, শারজিল ১৩ ডিসেম্বর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ শাহিনবাগে এক বক্তৃতায় অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতকে আলাদা করার কথা বলেন শারজিল, এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।