যদি নিষিদ্ধ সাহিত্য না-হয় আর যদি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর কথা তাতে বলা না-থাকে, তবে জিহাদি সাহিত্য সঙ্গে রাখা অপরাধ নয়। ইউএপিএ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে এমনটাই জানাল দিল্লি আদালত। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এই মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করেছে।
এই ব্যাপারে এনআইএর দাবি, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে ধৃতরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএসআইয়ের হয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ওই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সহিংস জিহাদি মতাদর্শ প্রচার করছে। এমনকী, জঙ্গি সংগঠনটিকে অর্থের জোগান দিতে তারা নিজেদের মধ্যে ৬০ হাজার টাকা লেনদেনও করেছিল। এমনই অভিযোগ এনআইএর।
প্রধান জেলা ও দায়রা বিচারক ধর্মেশ শর্মা, ৩১ অক্টোবরের নির্দেশে বলেছিলেন, 'নিষিদ্ধ না-হলে, আর সেখানে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর কথা বলা না-থাকলে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় দর্শন সম্বলিত জিহাদি সাহিত্য কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, তা আইনের দৃষ্টিতে বোধগম্য নয়।'
বিচারক সঙ্গে আরও জানান, জিহাদি সাহিত্য রাখা ওই সব ব্যক্তিদের জিহাদি ঘোষণা করে সাজা দেওয়া যায় না। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিশ্চিতরূপে সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ বা অধিকার হরণের শামিল। এমনকী, ওই সব ব্যক্তিরা জিহাদি সাহিত্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন- বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন খারিজ, কী বলেছিলেন আবেদনকারী?
আদালত মুসাব আনোয়ার, রিস রশিদ, মুন্ডাদিগুট্টু সদানানন্দ, মারলা দীপ্তি, মহম্মদ ওয়াকার লোন, মিজা সিদ্দিক, শিফা হারিস, ওবায়েদ হামিদ মাত্তা এবং আম্মার আবদুল রহমানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১২০বি ধারা এবং ইউএপিএর ২ (০), ১৩, ৩৮ এবং ৩৯ ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, অন্যতম অভিযুক্ত মুজামিল হাসান ভাটকে সমস্ত অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার সময় আদালতের বক্তব্য ছিল, তারা কেবল জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীলই ছিল না। বরং, জম্মু ও কাশ্মীরে খিলাফত শাসন আনতে উদ্যোগী হয়েছিল। আসামিরা কোনও 'উস্কানিমূলক বার্তা প্রচার করেননি' বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেছিলেন। কিন্তু, সেই যুক্তির সঙ্গে আদালত একমত হয়নি।
Read full story in English