সাংবাদিক সৌম্যা হত্যায় কঠোর সাজা! বিপুল অর্থও পাবে নিহতের পরিবার

'আমরাও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছি', জানালেন নিহত সাংবাদিকের মা।

'আমরাও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছি', জানালেন নিহত সাংবাদিকের মা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
soumya

২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, সৌম্যা বিশ্বনাথন কাজ থেকে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন।

সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনকে হত্যার ১৫ বছর পর, দিল্লির এক আদালত আজ মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম আইনের অধীনে হত্যা এবং অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। শাস্তির নির্দেশে আদালত বলেছে যে এটি বিরল অপরাধে মামলার আওতায় পড়ে না। তাই, মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

Advertisment

ঘোষিত সাজা
সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথন ২০০৮ সালে খুন হন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। যে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে, তারা হল- রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, বালজিৎ মালিক এবং অজয় কুমার। এই হত্যা মামলায় পঞ্চম অভিযুক্ত অজয় শেঠিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেঠিকে আইপিসি ধারা ৪১১-র অধীনে চুরি করা এবং মোকা আইনে অর্থ নিয়ে সংগঠিত হত্যার অপরাধে সাহায্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

জরিমানার অর্থ
এই মামলায় ৩০০টিরও বেশি শুনানি হয়েছে। ৯৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়রা জজ রবীন্দ্রকুমার পাণ্ডের আদালত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছে। পঞ্চম সাজাপ্রাপ্ত, অজয় শেঠিকে ৭.২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবশ্য, আদালত উল্লেখ করেছে যে শেঠি ইতিমধ্যেই ১৪ বছরেরও বেশি সময় কারাদণ্ড ভোগ করেছে। নির্দেশে আদালত বলেছে যে দোষীদের থেকে আদায় হওয়া জরিমানা থেকে ১২ লক্ষ টাকা সৌম্যা বিশ্বনাথনের পরিবারকে দেওয়া হবে।

Advertisment

আরও পড়ুন- ‘পৃথিবীর নরক’ বলছে রাষ্ট্রসংঘ, এখন ঠিক কতটা দুর্বিষহ গাজার পরিস্থিতি?

পরিবারের প্রতিক্রিয়া
মেয়ের হত্যার ১৫ বছর পর সাজা ঘোষণা। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সৌম্যা বিশ্বনাথনের মা মাধবী বিশ্বনাথন বলেন, 'আমরাও একরকম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই ভোগ করছি।' তিনি রায়ে সন্তুষ্ট, কিন্তু খুশি নন বলেই মাধবী বিশ্বনাথন জানিয়েছেন। শুনানির সময় বিচারক সৌম্যার মাকে জিজ্ঞেস করেন, 'তাঁর কোনও আবেদন আছে কি না?' জবাবে মাধবী বিশ্বনাথন বলেন, 'বিচার চাই'। পরে সাংবাদিকদের মাধবী বিশ্বনাথন বলেন, 'আমার স্বামী আইসিইউতে আছেন। তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছে আমি বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমি যা কষ্ট পাচ্ছি, তাতে চাই যে তারাও (দোষীরা) সারাজীবন কষ্ট পাক।'

journalist Murder Court Order