Indo-China Border: পেন্টাগন সম্প্রতি ইউএস কংগ্রেসকে চিনা দখলদারি এবং আগ্রাসন নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্টে এলএসি অর্থাৎ ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর বেজিংয়ের দখলদারির প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। পেন্টাগনের তৈরি রিপোর্টে উল্লেখ, ‘এলএসি বরাবর ধীরে ধীরে কৌশল অবলম্বন করে দাবি চাপানোর চেষ্টা করছে চিন।‘ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এই রিপোর্টের সমালোচনা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সাপ্তাহিক প্রেস বিবৃতিতে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত, তাদের ভূখণ্ডে চিনের অবৈধ দখলদারি মানে না। তাই চিন এই দাবি করলে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘বহু বছর ধরে এলএসি বরাবর নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বেজিং। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের দখলদারি মানেই না দিল্লি।‘
পেন্টাগনের রিপোর্ট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রকের এই কর্তা বলেছেন, ‘ আমাদের ভূখণ্ডে চিনা উপস্থিতির আপত্তি কুটনৈতিকভাবে বেজিংকে জানানো হয়েছে। আগামি দিনেও সেই ভাবে চিনকে অবগত করা হবে।‘ তাঁর দাবি, ‘এলএসি বরাবর ভারত নির্মাণকাজ শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে সেতু, সড়ক। এই পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্তের নাগরিকদের যোগাযোগ আরও বাড়বে।‘
এদিকে, তালিবান জমানায় আফগান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আঞ্চলিক পরিষদের বৈঠক হল নয়া দিল্লিতে। ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এই বৈঠকে অনুপস্থিত চিন এবং পাকিস্তান। কিন্তু মধ্য এশিয়ায় শান্তি রক্ষার তাগিদে উপস্থিত ছিল ৭টি দেশ। ইরান, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্থান, তাজিকিস্থান, কিরঘিজস্থান এবং তুর্কমেনিস্থানের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন।
নয়া দিল্লির গৃহীত প্রস্তাবেই সাড়া দেয় বাকি রাশিয়া-সহ পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়ার বাকি রাষ্ট্রগুলো। আফগানিস্তানের মাটিকে কিছুতেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিপালন, প্রশিক্ষণ এবং উৎপাদনে আখড়া বানানো চলবে না। ভারতের নেওয়া এই প্রস্তাবেই সাড়া দিয়েছে বাকি ৭ রাষ্ট্র। পাশাপাশি তালিবান জমানায় সেই দেশের পুনর্গঠন এবং মানবাধিকার রক্ষায় ইতিবাচক পড়শি হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো। এই প্রস্তান গ্রহণ করেছে দিল্লি-সহ রাশিয়া, ইরান এবং অন্যরা।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে তালিবান সে দেশে ক্ষমতা দখলের পরেই মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি। আফগান মুলুককে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি বানিয়ে বহির্বিশ্বে তার প্রভাব বাড়াতে সক্রিয় হবে মৌলবাদীরা। ভারত, ইরান, রাশিয়া এবং উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলো এই আশঙ্কা করতে থাকে।
তাই চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মস্কোয় তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিল ভারত-সহ ৯টি রাষ্ট্র। তখনই দিল্লির তরফে এই বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠকে আফগানিস্তানে বেড়ে চলা মৌলবাদ, মাদক চোরাচালান, জঙ্গিবাদ দমনে পড়শি দেশগুলো পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন