Advertisment

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসান

শনিবার সকালে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর এসকর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোমায় চলে যান তিনি। দুপুর নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

প্রয়াত হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। শনিবার সকালে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ফরটিস এসকর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই কোমায় চলে যান তিনি। দুপুর ৩টে ৫৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Advertisment

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সামগ্রিক আধুনিকিকরণে শীলা দিক্ষিতের ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে দলমত নির্বিশেষে সব পক্ষই। দীক্ষিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন দিল্লির জন্য বিরাট ক্ষতি হল, তাঁর অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।



কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিনের বাসভবনেই শীলা দীক্ষিতের দেহ রাখা হবে, যাতে সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সমর্থকরা। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিগম বোঝ ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

ওখলার ফরটিস হাসপাতালের চিকিৎসকদের দল জানিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাময়িক ভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ফের আরেকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে শনিবার, ২০ জুলাই বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

sheila dikshit প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ভিড়। এক্সপ্রেস ফটো- প্রবীণ খান্না

মোট তিন দফায় টানা ১৫ বছর (১৯৯৮-২০১৩) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শীলা দীক্ষিত। তবে পরাজিত হন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেত্রী।

শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শোক কংগ্রেস পরিবারে। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

publive-image দীক্ষিতের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান এক কংগ্রেস কর্মী। এক্সপ্রেস ফটো- প্রবীণ খান্না

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। জানালেন, দীক্ষিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বাংলার রাজ্যপাল উমাশঙ্কর দীক্ষিতের সূত্রে। উমাশঙ্করের পুত্রবধু ছিলেন শীলা। সোমেন মিত্র বললেন, "রাজনৈতিক পরিচিতির চেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শীলা দীক্ষিতের সাফল্য অনেক বেশি ছিল"।

সম্প্রতি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতার খবর ছড়িয়েছিল। গত বছর আগস্টে ফ্রান্সে গিয়ে একটি অপারেশনও করিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরের বছরই কেরলের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন শীলা দীক্ষিত। কিন্তু চার মাস পরই সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

তাঁর দীর্ঘ ১৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলেও খোল নলচে বদলে ফেলা হয় রাজধানীর পরিকাঠামো। সড়ক এবং উড়ালপুল নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। পরিবেশ দূষণে দিল্লির প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল এই সময়ে।

শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের প্রথমদিককার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি জানিয়েছেন দুই নেত্রীর মধ্যে সব সময় উষ্ণ সম্পর্ক বজায় থেকেছে।

Follow the live update in English

CONGRESS New Delhi
Advertisment