/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/delhi-fire-759.jpg)
পুড়ে ছাই আনাজ মান্ডির বিল্ডিং। চলছে উদ্ধারকাজ। এক্সপ্রেস ফোটো- প্রবীণ খান্না
দিল্লির আনাজ মান্ডি, বাড়ির নম্বর ৮২৭৩। পাঁচতলা বাড়িটিতে এখন শুধুই হাহাকার। রবিবার ভোররাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কেড়েছে মোট ৪৩টি প্রাণ। কিন্তু কীভাবে এই কারখানাটিকে এমন ভয়াবহ আগুন গ্রাস করল? দমকলের ছাড়পত্র ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কীভাবে চলছিল এই কারখানা? উত্তর দিল্লির এই আবাসন কমপ্লেক্সটিতে প্রায় ২৮০০টি বাড়ি, এরমধ্য অবৈধভাবে চলছিল কারখানাটি। এমনকী, কোনওরকম অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা এবং দমকলের ছাড়পত্রও ছিল না। ৪৩ জনের মৃত্যুর পরই কারখানাটিকে কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি (শো কজ নোটিস) পাঠিয়েছে উত্তর দিল্লি পৌরসংস্থা।
উত্তর দিল্লি পৌরসংস্থার কমিশনার বর্ষা যোশী বলেন, "আমাদের আধিকারিকরা গত সপ্তাহে পুরো বিল্ডিংটি ঘুরে দেখেছিলেন। সেখানে বেশ কিছু ঘর বন্ধ অবস্থায় ছিল। বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ইউনিটকে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে। যদি দেখা যায়, মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী সেখানে আবাসিক ইউনিট তৈরির ছাড়পত্র রয়েছে, তবেই থাকার অনুমতি দেওয়া হবে, নচেৎ তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।" উত্তর দিল্লি পৌরসংস্থার অপর এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী সংখ্যাটি ২৮০০ হলেও, প্রকৃতপক্ষে সেখানে থাকতেন প্রায় ১০ হাজার আবাসিক। ইতিমধ্যেই ৪৫০০ জন অবৈধ আবাসিকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫০০ জনকে শোকজ নোটিসও পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ছেড়ে গিয়েছেন ৪০০ জন।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/delhi1.jpg)
তবে কীভাবে আবাসিক কমপ্লেক্সে কারখানা চলছিল, অগ্নিকাণ্ডের পর প্রশ্ন উঠছে সেই প্রশ্নও। যদিও সেখানকার স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান জয় প্রকাশের বক্তব্য, পুরসভার নিয়ম লঙ্ঘনকারী বিল্ডিংটি তাঁদের গোচরেই ছিল। এমনকী ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের শোকজের নোটিস পাঠানোর কথা ছিল উত্তর দিল্লি পৌরসংস্থার, এমনটাই জানিয়েছেন জয় প্রকাশ। অন্যদিকে, দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অধিকর্তা অতুল গর্গ জানিয়েছেন, অগ্নিনির্বাপণের ছাড়পত্র ছিল না কারখানাটির। এমনকী কোনওদিন এর জন্য আবেদনও করা হয়নি দমকল বিভাগের কাছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/delhi2.jpg)
এদিকে, রাজধানীর বুকে রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডির এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে চাপানউতোর। আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। আর আপাতত প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে। কিন্তু স্বজন হারানোর কান্নায় ভারাক্রান্ত আনাজ মান্ডির এই দুর্ঘটনা থেকে কতটা শিক্ষা নেবে রাজধানী, সে প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে দিল্লি।
Read the full story in English