Advertisment

'নির্ভয়াকাণ্ডের সময় নাবালক ছিলাম', আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এ পি সিং নামের ওই আইনজীবীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। আদালত বারংবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি 'লুকোচুরি' খেলে গিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি বলে খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষী- মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় কুমার সিং।

নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত এক জন ঘটনার সময় নাবালক ছিল, এমনটা দাবি করে দায়ের হওয়া এক আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট দোষী সাব্যস্তের বয়সের জাল নথি দিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও এদিন দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisment

বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এ পি সিং নামের ওই আইনজীবীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। আদালত বারংবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি 'লুকোচুরি' খেলে গিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি বলে খবর।

আরও পড়ুন- নির্ভয়া শুনানি থেকে সরলেন প্রধান বিচারপতি

উল্লেখ্য, এই মামলায় দোষী সাব্যস্তদের অন্যতম মৃত্যুদণ্ড রোধের আবেদন জানালে বুধবারই তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি-জাতীয় রাজধানী এলাকায় দূষণের দরুন এমনিতেই আয়ু কমে আসছে, এই যুক্তিতেই মৃত্যুদণ্ডের 'আসারতা'র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ওই দোষীর আইনজীবী। আইনজীবী এ পি সিং যখন দোষীর পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, 'কলিযুগে প্রাণদণ্ডের কোনও প্রয়োজনই নেই কারণ কোনও মানুষই এখানে মৃতদেহের থেকে ভাল অবস্থায় নেই'। অশোক কুমার সিং (৩৩)-এর আবেদন খারিজ করার সময় বিচারপতি আর ভানুমতী এই সওয়ালকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে মন্তব্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির একটি বেসরকারি বাসে এক ফিজিওথেরাপির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় জন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে একজন নাবালক ছিল, তাকে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখা হয়। আরেক অভিযুক্ত রাম সিং তিহার জেলে আত্মহত্যা করে। এরপর ২০১৩ সালে এক ফাস্ট-ট্যাক আদালত বাকি চারজনকে গণধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন অত্যাচার, খুন এবং নির্যাতিতার বন্ধুকে হত্যার চেষ্টা-সহ ১৩টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে।

Advertisment