দিল্লিতে গণধর্ষেণের ঘটনা। ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ধৃতদের একজন নির্যাতিতার বন্ধু। অপরজন অল্প চেনা। ঘটনাটি ঘটেছিল ৬ জুলাই। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুর দেখা হয়, তারা জয় রাইডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন মেয়েটির বন্ধুটি আরও একজনকে ডাকে। মোট তিন জন জয়রাইডে যায়। একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তিন জনই প্রাইভেট ট্যাক্সির চালক।
ধৃতরা হল- মহম্মদ আরিফ (২৩), মনোজ কুমার (২৫) এবং রূপেশ কুমার (৩৫)৷ ডিসিপি (দক্ষিণ পশ্চিম জেলা) মনোজ সি বলেছেন, "আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার আওতায় বক্তব্য রেকর্ড করেছি এবং তদন্ত এগোচ্ছে।"
ডিসিপি মনোজ জানিয়েছেন যে, পুলিশ ৮ জুলাই ভোর ৪টের সময় নির্যাতিতার বাবার কাছ থেকে একটি ফোন পান। তখন মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতিতাত বাবা পুলিশকে মেয়ের শ্লীলতাহানি কথা বলেন। মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আমার মেয়ে একটি গাড়িতে তিনজনের সঙ্গে জয়রাইড করতে গিয়েছিল। তারা ৭ জুলাই সকাল ৭ নাগাদ ফিরে আসে। তখনই মেয়ে তার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক অত্যাচারের কথা জানিয়েছিল। তিন জন এই অপকর্মে যুক্ত ছিল।
কীভাবে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল? পুলিশকে নির্যাতিকাক বাবা বলেছিলেন যে, 'মেয়েটি ওর দু'জন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ৬ জুলাই দেখা করেছিলেন। ওরাই আরেকজন বন্ধুকে ডাকে। তৃতীয় ছেলেটিরই ওয়েগানার গাড়ি জয়রাইডে যায় ওরা। ওরা চারজনই মদ্যপান করেছিল। এরপর ওই তিনজন মেয়েটিকে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে যায়। যেখানে দুই ব্যক্তি তাকে গাড়ির ভেতরে ধর্ষণ করে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। শেষে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়।'