তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ভয়াবহ, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ। আদালতে দিনের পর দিন চেঁচিয়ে বলেছেন তিনি দোষী নন, অন্য একটি ছেলে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। আদালত তাঁর বক্তব্য কানেই তোলেনি। পুলিশেও গ্রাহ্য করেনি। জেলের ঘুপচি অন্ধকার ঘরেই টানা দশ বছর কাটিয়ে 'ন্যায় বিচার' পেলেন বাবা, হ্যাঁ তবে লোহার মোটা গরাদের এ পাশ থেকে আকাশ দেখা হল না বাবার। অভিযুক্তের মৃত্যুর ১০ মাস পরে তাঁকে বেকসুর খালাস করার কথা ঘোষণা করল দিল্লি উচ্চ আদালত।
মামলা চলাকালীন ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবিও জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি আরকে গবা বললেন, "তদন্ত পুরোপুরি একতরফা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা এবং ট্রায়াল কোর্ট, উভয়ই অভিযুক্তের দাবি মন দিয়ে শোনেনি, যার ফলে মামলার ফলাফল একতরফা হয়েছে"। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। মৃত্যুর ১০ মাস পর দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে 'নির্দোষ' ঘোষণা করল।
রায় ঘোষণাকালে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, তদন্তের গভীরে না গিয়ে সহজ রাস্তা বেছেছিল আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, "বিচারকরা অন্ধভাবে বিচার করেছেন, নিকট আত্মীয়দের সাক্ষ্য না নিয়েই, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিচারকালে তাঁরা একবারও ভাবলেন না, অভিযোগ সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, কার্যত অসম্ভব"। হাইকোর্টের রায়ে আরও বলা হয়েছে, "নিম্ন আদালতের অবহেলায় ভুল বিচার হয়েছে। একটি মেয়ের বাবাকেই তার ধর্ষক প্রমাণ করা হয়েছে"।
১৬ বছরের মেয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ায় এফআইআর করেছিলেন তাঁর বাবা। এই ঘটনার পর মেয়ে অভিযোগ জানায়, ১৯৯১ সাল থেকে তাঁর বাবা তাঁকে ধর্ষণ করে চলেছে। মেয়ের অভিযোগের পর, ১৯৯৬ সালে কোনো তদন্ত ছাড়াই বাবার এফআইআর তুলে নেওয়া হয়।
Read the full story in English