বড় স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার! দিল্লি হাইকোর্ট 'অগ্নিপথ প্রকল্পকে' সঠিক বলে 'স্বীকার' করে বলেছে- এই প্রকল্পটি 'জাতীয় স্বার্থে' কেন্দ্রের একটি উদ্যোগ। দিল্লি হাইকোর্ট গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তার রায় সংরক্ষণ করেছিল। সশস্ত্র বাহিনীতে যুবকদের নিয়োগের জন্য গত বছরের ১৪ জুন 'অগ্নিপথ প্রকল্প' চালু করে কেন্দ্র। অগ্নিপথ প্রকল্পে 'বড়সড় স্বস্তি' পেল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে 'সঠিক' বলেই উল্লেখ দিল্লি হাইকোর্টের। অগ্নিপথ প্রকল্প কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানানো হয় তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সুব্রামনিয়াম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত বলেছে যে 'অগ্নিপথ প্রকল্পটি' জাতীয় স্বার্থে কেন্দ্রের একটি বোড় উদ্যোগ। একই সঙ্গে আদালত উল্লেখ করেছে এই স্কিম আমাদের 'সশস্ত্র বাহিনীর' উন্নতির জন্য আনা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তার রায় সংরক্ষণ করে। সশস্ত্র বাহিনীতে যুবকদের নিয়োগের জন্য গত বছরের ১৪ জুন 'অগ্নিপথ প্রকল্প' চালু করা হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, সাড়ে সতেরো থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকরা এই স্কিমের আওতায় সেনাবাহিনীতে আবেদন করার যোগ্য।
দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা সকল পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছে, এই স্কিম আনার উদ্দেশ্য হলো আমাদের বাহিনীকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করা এবং এটা দেশের স্বার্থে কেন্দ্রের এক বড় সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, পুরনো পদ্ধতিতে নিয়োগের দাবি জানিয়ে যারা তাদের পিটিশন দাখিল করে আদালত এদিন সেই সকল আবেদনও খারিজ করে দেয়।
প্রকৃতপক্ষে, দেশের বিভিন্ন অংশে অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, যার পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায় এবং সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত মামলার শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে। আজ দিল্লি হাইকোর্টে, প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং সুব্রামানিয়াম প্রসাদের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদনগুলির উপর তাঁদের রায় দিয়েছেন। একই সময়ে, তার যুক্তি দেওয়ার সময়, কেন্দ্র বলেছিল যে অগ্নিপথ প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা নিয়োগে সবচেয়ে বড় পরিবর্তিত নীতিগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্পের অধীনে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রামানিয়াম প্রসাদের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ১৫ ডিসেম্বর তার রায় সংরক্ষণ করেন। আসলে গত বছরের ১৪ জুন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে তরুণদের নিয়োগ শুরু হয়। এই স্কিমের নিয়ম অনুসারে, ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকরা এই স্কিমের আওতায় সেনাবাহিনীতে আবেদন করার যোগ্য। স্কিমের আওতায় চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। তার মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশ যুবককে সেনাবাহিনীর স্থায়ী পদের যোগ্য দাবিদার হিসাবে নির্বাচিত করা হবে।
আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে বাকি ৭৫ শতাংশ প্রার্থী চার বছর পরে বেকার হবেন এবং তাদের জন্য কেন্দ্রের কোন সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ১২ ডিসেম্বর হাজির হওয়া আবেদনকারীদের মধ্যে একজন যুক্তি দিয়েছিলেন- 'ছয় মাসের মধ্যে, আমাকে শারীরিক ভাবে দক্ষ একই সঙ্গে অস্ত্রের ব্যবহার শিখতে হবে। ছয় মাস এর জন্য খুবই কম। আমরা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আপস করতে যাচ্ছি'। অগ্নিবীরদের এক চতুর্থাংশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করলে তাদের সামগ্রিক পরিষেবার জন্য তাদের চার বছরের মেয়াদ গণনা করা হবে কিনা তা নিয়েও তর্ক ছিল।