উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত কুলদীপ সেনগারের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। মেয়ের বিয়ের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিল সেনগার। সেই আবেদনই মঞ্জুর করেছে আদালত। সেনগারের মেয়ের বিয়ে হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই বিয়ের জন্যই দু'মাসের জামিন চেয়ে গত ডিসেম্বরে সে আবেদন করেছিল। সেনগারকে উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সেনগারের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হয়। সোমবার সেনগারের জামিনের আবেদন ওঠে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা ও বিচারপতি পুনম এ বাম্বার ডিভিশন বেঞ্চে। তবে, সেনগারের আবেদন অনুযায়ী দু'মাসের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। বরং, ২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৫ দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে, শর্তাধীনে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
সেই আবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিন থানায় হাজিরা দিতে হবে সেনগারকে। পাশাপাশি, ১ লক্ষ টাকা করে ২ লক্ষ টাকার জামিনের বন্ড জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেনগারের হয়ে আদালতে জামিনের সওয়াল করেছেন আইনজীবী এন হরিহরণ ও আইনজীবী পিকে দুবে। আদালতকে সেনগার জানিয়েছেন যে বিয়ের অনুষ্ঠানপর্ব চলবে লখনউ এবং গোরক্ষপুরে। জামিনের আবেদনে সেনগার আরও জানিয়েছেন যে তিনি পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য। তাঁকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই তাঁর জামিনে মুক্তি চাই।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে পিছোল DA মামলার শুনানি, রাজ্যকে কী নির্দেশ শীর্ষ আদালতের?
উন্নাও ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কুলদীপ সেনগার। সেই মামলাও দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেনগারের বিরুদ্ধে উন্নাও ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় ২০১৭ সালে। সেই সময় নাবালিকা নির্যাতিতা অভিযোগ করে যে তাঁকে অপহরণ করে বাঙ্গারমউয়ের চার বারের বিধায়ক কুলদীপ সেনগার ধর্ষণ করেছে। এই অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের আগস্টে সেনগারকে বিজেপি দল থেকে বহিষ্কার করে। ২০১৯ সালের আগস্টে, সুপ্রিম কোর্ট সেনগারের মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে। আর নিম্ন আদালতকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করার নির্দেশ দেয়।
Read full story in English