দিল্লির ১২, জনপথ রোডের বাংলো থেকে তাঁদের উচ্ছেদ আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের পরিবারের লোকজন। কিন্তু, আদালত তাঁদের পাশে দাঁড়াল না। গত একবছর ধরে দিল্লির ১২, জনপথের এই বাংলো জবরদখল করে রেখেছেন রামবিলাসের পরিবারের লোকেরা। ১৯৯০ সাল থেকে ১২, জনপথের বাংলোয় পরিবার নিয়ে থাকছিলেন রামবিলাস। কিন্তু, তিনি মারা গেছেন। তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান সাংসদ হলেও, নিয়মমাফিক এত বড় বাংলো পান না। সেই কারণে চিরাগকে সাংসদদের জন্য নির্দিষ্ট বাংলো দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Advertisment
কিন্তু, তাতে আপত্তি রামবিলাসের পরিবারের লোকেদের। ৩২ বছর একই বাংলোয় থাকার সুবাদে তাঁরা ১২, জনপথের বাংলোয় কার্যত মৌরসিপাট্টা জমিয়ে বসেছিলেন। এতবড় বাংলো তাঁরা কিছুতেই ছাড়তে চাইছেন না। কিন্তু, সরকারি নিয়মে তা সম্ভব নয়। গতবছরই এই বাংলো রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর জন্য বরাদ্দও করা হয়েছে। সেটা জেনেও রামবিলাসের পরিবার বাংলো ছাড়তে রাজি হননি। জবরদখল করে রেখেছিলেন। এরপর, সোমবার তাঁদের উচ্ছেদ করতে ১২, জনপথে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশও। এই অবস্থায় ১২, জনপথের বাংলোয় জবরদখল বজায় রাখতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাসের পরিবারের লোকজন। কিন্তু, আদালত তাঁদের পাশে দাঁড়াল না।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা রামবিলাসের পরিবারের লোকজনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'ওই বাংলো আপনাদের দলের সদর দফতর না।' কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্ত ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাজে হস্তক্ষেপ করতেও অস্বীকার করেন বিচারপতি। রামবিলাসের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান লোক জনশক্তি পার্টির সভাপতি। তিনি বিহারের জামুই লোকসভার সাংসদ। ১২, জনপথের বাংলোয় বর্তমানে চিরাগ থাকছিলেন। তাঁর মা রিনা পাসোয়ান আদালতে জানান, শতাধিক লোকজন এখন ১২, জনপথের বাংলো ও তার স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। তাঁদের সবাইকে সরাতে অন্তত চার মাস সময় লাগবে। এজন্য সময় চাই। আদালত পালটা জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সেটা থামানো যাবে না।