ই-কমার্স ফার্মাসির মাধ্যমে অনলাইনে ওষুধ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লি আদালত। আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করা হয়। আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিল্লি আদালত জানিয়ে দিল নির্দেশের ওপর এখনই জারি করা হচ্ছে না স্থগিতাদেশে।
দিল্লি আদালত জানিয়েছে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশের ওপর জারি থাকবে স্থগিতাদেশ।
বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং বিচারপতি ভিকে রাও-এর বেঞ্চ জানিয়েছে, "কেন্দ্র যে হলফনামা দিয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে দেখা গিয়েছে বিধিবদ্ধ নিয়ম তৈরি না হওয়ায় পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশই জারি থাকবে।
আরও পড়ুন, আদালত ও ই-ফার্মাসি
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার নিয়মাবলী তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।ইতিমধ্যে বিভিন্ন ই-ফার্মাসি সংস্থা আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছে অনলাইনে ওষুধ কেনা বেচার ওপর নিষেধ তুলে নেওয়া হোক। বৈধ লাইসেন্স রয়েছে তাদের কাছে, আর আইন মেনেই বিক্রি করা হচ্ছে ওষুধ, এরকম যুক্তি দিয়েছে বহু সংস্থাই।
জাহির আহমেদ নামের এক ব্যক্তির করা জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে অনলাইনে ওষুধ কেনাবেচার অপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি আদালত। জাহিরের হয়ে আদালতে হাজিরা দেন আইনজীবী অরবিন্দ নিগম এবং নকুল মোহতা, তাঁরা বলেন, দেশের ই-ফার্মেসিগুলি রোজ লক্ষ লক্ষ ওষুধ বিক্রি করে। ই-ফার্মেসিগুলির ওষুধ ব্যবহারে রোগী এবং চিকিত্সক উভয়েরই বিরাট ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। জনস্বার্থের মামলার হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, 1940 সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট এবং 1948 সালের ফার্মেসি অ্যাক্টে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি অনুমোদন করা হয়নি। ওষুধের সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের বিশেষ তফাত্ আছে।
হলফনামায় স্পষ্ট বলা ছিল, একাধিক বার দেখা গিয়েছে ই কমার্স ওয়েবসাইটে যে সমস্ত ড্রাগ বিক্রি হচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেক গুলোই ভুয়ো। তা থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অর্থাৎ ভারতীয় সংবিধানের নাগরিকের মৌলিক অধিকার (২১ নম্বর ধারা - নিরাপদ জীবনের অধিকার) খর্ব করা হচ্ছে।
Read the full story in English