Delhi High Court: যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দমনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মঙ্গলবার এই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের।অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের সহমতের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদ বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশে এই ধরণের মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্ত, ভয় এবং সামাজিক লজ্জায় সব দাবি মেনে নেবে। অভিযোগকারীর এই উদ্দেশেই সেই মামলা দায়ের করেন। এই প্রথা বিলোপে মূল অভিযুক্তকে কড়া সাজা না দিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।‘
দিল্লির আমন বিহার থানায় আইপিসির ৩৭৬ ধারায় একটা মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলা খারিজের আবেদন করে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন পড়েছে। সেই পিটিশন খারিজ করে বিচারপতি এই মন্তব্য করেছেন। এই মামলায় পরস্পর-বিরোধী জোড়া ধর্ষণের অভিযোগ আমন বিহার থানায় ২০১৯ সালে দায়ের হয়েছিল। একটা মামলায় অভিযোগকারী এক আইনজীবী। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত অপর এক আইনজীবী। আর বিরোধী মামলায় অভিযোগকারী অভিযুক্ত আইনজীবীর স্ত্রী।
দুই আবেদনকারীর সামাজিক অবস্থান এবং পেশাগত অবস্থা বিচার করে ক্ষুব্ধ কোর্টের মন্তব্য, ‘আইনের কারবারীরা এধরণের বিকৃত প্রথায় বিশ্বাসী হলে, সেটা খুব দুঃখের।‘ বিচারপতির মন্তব্য, ‘ধর্ষণ শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়। একটা ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে ধর্ষণ। এক মহিলাকে মানসিক ভাবে বিধস্ত করে ধর্ষণ। অনেক সময় গোটা জীবন সেই ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়।‘ তারপরেও ধর্ষণের মতো অভিযোগকে মানুষ লঘু চোখে দেখে। এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি প্রসাদ।
ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছে, ‘ধর্ষণের মতো গুরুতর এই অভিযোগ খারিজ করলে অভিযুক্তদের মনোবল বাড়বে। পরবর্তী সময়ে নিগ্রহের শিকার মহিলাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে পার পেয়ে যাবে ধর্ষণে অভিযুক্তরা।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন