/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/05/ie-Sharjeel-Imam.jpg)
দাঙ্গা সংক্রান্ত পুলিশের বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় শারজিল ইমামের জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। (এক্সপ্রেস আর্কাইভস)
Sharjeel Imam Bail: দিল্লি হাইকোর্ট বুধবার ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার মামলায় ধৃত সমাজকর্মী শারজিল ইমামের জামিন মঞ্জুর করেছে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন শারজিল ইমামকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে আনা হয়েছিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ইউএপিএর মামলায় জামিন পেয়েছেন শারজিল।
হাইকোর্ট থেকে স্বস্তি পেলেও আপাতত তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। বিচারপতি সুরেশ কুমার এবং বিচারপতি মনোজ জৈন তাকে জামিন দিয়েছেন। দিল্লি দাঙ্গা মামলায় শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এই মামলায় তিনি জামিন পাননি। অতএব তাকে কারাগারেই থাকতে হবে।
এই মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার অর্ধেক সাজার ভিত্তিতে জামিন চেয়েছিলেন শারজিল ইমাম। ইমামের পক্ষে এদিন হাজির ছিলেন আইনজীবী তালিব মুস্তফা ও আহমেদ ইব্রাহিম।
দিল্লি পুলিশের তরফে হাজির হন এসপিপি রজত নায়ার। মোস্তফা বলেন, ইমাম এরই মধ্যে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা চার বছর সাত মাস জেল খেটেছেন। যদি কেউ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ধারা ১৩-এর অধীনে (বেআইনি কার্যকলাপের জন্য শাস্তি) এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর। সাত বছরের সাজার অর্ধেক সাজা ইতিমধ্যেই ভোগ করেছেন ইমাম।
আরও পড়ুন - < Rajkot gaming zone fire: আগুনই কাড়ল প্রাণ, মৃত্যু গেমিং জোনের অংশীদারেরও, অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক >
উল্লেখ্য, শারজিল ইমাম ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ -এ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং ১৬ ডিসেম্বর, 2019-এ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অসম এবং উত্তর-পূর্বের বাকি অংশকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল একটি মামলা দায়ের করেছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে UAPA এর ১৩ নং ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি এই মামলায় ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে জেলবন্দী রয়েছেন।