অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে 'হামলা'র বিষয়ে পুলিশকে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের। বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (BYJM)-এর প্রায় দু'শো বিক্ষোভকারী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবং প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কতদূর এগিয়েছে পুলিশি তদন্ত? শুক্রবার দিল্লি পুলিশের কাছে সেব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশকে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ উচ্চ আদালতের।
Advertisment
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে কার্যত তাণ্ডব চালায় কয়েকশো বিক্ষোভকারী। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান দরজার সামনে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। বিধায়কের সেই আবেদনের শুনানি চলে হাইকোর্টে। কেজরিওয়ালের বাড়িতে হামলার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আবেদন জানান ওই আপ বিধায়ক।
এদিন মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ভিপিন সাংঘি এবং বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ''এটা স্পষ্ট যে ভয় তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশকে এই ঘটনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ব্যাখ্যা করতে হবে।''
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কথায়, ''আমরা ভিডিওগুলোও দেখেছি। ভিডিও-য় অশান্ত জনতার ভিড় দেখা যাচ্ছে। তারা প্রধান ফটক ভেঙে দেয়। সরকারি সম্পত্তিও ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু লোক গেটের ওপরে উঠল। তারা সফল হয়নি বা দেখা যাচ্ছে এটা তাদের উদ্দেশ্যও ছিল না। কেউ কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। অবশ্যই ভয় ধরানোর একটি চেষ্টা হয়েছে। এটি স্পষ্ট। আমরা আরও দেখতে পাই যে পুলিশ বাহিনী সম্ভবত ওই এলাকায় অপর্যাপ্ত ছিল। অন্তত যারা সেদিন সেখানে ছিলেন, তারা তা ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। সম্ভবত বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় বেশি ছিল।''
Advertisment
माननीय मुख्यमंत्री @arvindkejriwal जी के आवास पर भाजपा के गुंडों द्वारा करा गया हमला बेहद निंदनीय है. पुलिस की मौजूदगी में इन गुंडों ने बैरिकेड तोड़े, सीसीटीवी कैमरा तोड़े. पंजाब की हार की बौखलाहट में भाजपा वाले इतनी घटिया राजनीति पर उतर गए. pic.twitter.com/ewzhqQgYyU
এরপরেই পুলিশকে আদালতের নির্দেশ, ''সেদিন ঠিক কী ধরনের চেষ্টা বা হুমকি আপনারা দেখেছেন সেটাই ব্যাখ্যা করতে হবে।'' এদিকে, দিল্লি পুলিশের হয়ে সওয়ালকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন আদালতে এফআইআর-এর কপি জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই আবেদনকারীর উদ্বেগের সমাধান করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন জৈন। কেজরিওয়ালের বাড়িতে হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গেও শীঘ্রই দিল্লি পুলিশ বৈঠকে বসবে বলেও আদালতে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে আরও জানিয়েছেন, তিনি একটি সিল করা কভারে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবেন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ-সহ সমস্ত প্রমাণ সংরক্ষণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।