অবশেষে ধরা পড়ল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার মুলচক্রী। পশ্চিমবঙ্গের তমলুক থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। গোড়া থেকেই দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করে আসছিল, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার অভিযুক্তরা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল বেশ কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে এসে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায় অভিযুক্ত জাফর (৩৪) ও বাবুউদ্দিন (৪৩)-কে। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই হিংসার মূলচক্রী ফরিদ শেখ ওরফে নীতুকে (৩১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হন দিল্লি পুলিশের বিশেষ দলের সদস্যরা। ধৃতের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, জালিয়াতি, অস্ত্রের কারবার-সহ অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে।
Advertisment
দিল্লি পুলিশের দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল ফরিদ শেখ ওরফে নীতু। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর নীতুর কথা জানতে পারেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছিল। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের দলটি জানতে পারে, কাকার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ফরিদ। এরপরই তার কাকার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যেতে চান দিল্লি পুলিশের এই বিশেষ দলের সদস্যরা।
চলতি মাসের মাঝামাঝি, (১৬ এপ্রিল) দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ ছড়ায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর পাথরবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করেন অংশগ্রহণকারীরা। ঘটনাটি জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় ঘটে। ঘটনার জেরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে চলে ধরপাকড়। পরে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, এই হামলার পিছনে রয়েছে ভিনরাজ্যের লোকজন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে যাওয়া সংখ্যালঘুরা। তারপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চলে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার কাজ।
তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানতে পারে, এই হিংসার পিছনে মদত দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ফরিদ শেখ ওরফে নীতু। তারপরই তার খোঁজে এরাজ্যে আসে দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। ফরিদ ওরফে নীতু গ্রেফতার হওয়ায় এতদিনে সেই দলের সদস্যরা সাফল্য পেলেন।