New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/rattan-lal-1.jpg)
সোমবার সিএএপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালের
সোমবার সিএএপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালের।
সোমবার সিএএপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালের
'যে নেই তাঁর সমন্ধে আর কী কথা বলব...।' রতন লালকে হারিয়ে এখন একথাই বলছেন শোকে বিহ্বল পরিবারের অন্যন্যরা।
সোমবার সিএএপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালের। প্রথমে গুজব বলে খবর উড়িয়ে দিলেও পরে কঠোর সত্য মানতে হয়েছে লাল পরিবারকে। বাবাকে হারিয়েছে তাঁর তিন সন্তান। রাজস্থানের শিকারের বাসিন্দা রতন ১৯৯৮ সালে যোগ দেন দিল্লি পুলিশে। বর্তমানে তিনি গোকুলপুরীর এসিপি অফিসে কর্মরত ছিলেন। বাড়ির ছেলের হঠাৎ চলে যাওয়াও কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন পরিবারের বাকিরা। রতনের বৃদ্ধা মা এখও জানেন না ছেলে আর নেই।
সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে দিল্লির মউজপুরের গোকুলপুরির কাছে মৃত্যু হল দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবলের। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোঁড়া পাথরের আঘাতেই রতন লালের মৃত্যু হয়। এদিকে পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম ডিসিপি পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মী। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৭। আদতের সংখ্যা ৭৮।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার হুমকির পরদিনই দিল্লি হিংসা!
নিহত রতন লালের ভাইপো মণীশ কুমারের কথায়, 'অফিসে কাজ তরছিলাম। হঠাৎ দেখি কাকার মৃত্যুর খবর টিভিতে দেখাচ্ছে। সেই সময়ই কাকার খবর জানতে চেয়ে আমার কাছে বেশ কয়েকটি মেসেজও আসে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি সব শেষ।'
জেটিবি হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, মাথায় জখম ছিল রতন লালের। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ১০ জন পুলিশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ম্যাক্স হাসপাতালের তরফে বলা হয়, 'এখানে ৬ জন আহত পুলিশকে ভর্তি করা হয়েছিল। যার মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।' হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ কর্মী রাম নাগার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'ডিসিপি অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করেই পাথর ছোড়া শুরু হয়। '
নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারকে সাহায্য়ে ইতিমধ্যেই অর্থ সহায়তার কাজ শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন