Delhi Police: উৎসবের মরশুমের আগে দেশব্যাপী বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল দিল্লি পুলিশ। দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গ্রেফতার করেছে ছয় জনকে। যাদের মধ্যে দুই জন পাক মদতপুষ্ট। পড়শি দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ওই দুই জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এমনটাই দিল্লি পুলিশের সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেশব্যাপী উৎসব চলাকালীন দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশে নাশকতার ছক কষেছিল এই ছয় জন।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের সিপি নীরজ ঠাকুর বলেছেন, ‘ধৃতেরা জান মহম্মদ শেখ, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, ওসামা ওরফে শামি জামিয়া নগরের বাসিন্দা, মূলচন্দ ওরফে সাজু উত্তর প্রদেশের রায়বরেলির বাসিন্দা, জিশান কামার, উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদের বাসিন্দা, মহম্মদ আবু বকর, বাহরইচের বাসিন্দা, মহম্মদ আমির জাভেদ, লখনউয়ের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ওসামা এবং জিশান আইএসআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পাক গুপ্তচর সংস্থার নির্দেশেই এতদিন চলছিল তারা। তাদের কাছে নির্দেশ ছিল উত্তর প্রদেশে এবং দিল্লির সম্ভাব্য জনবহুল এলাকায় উৎসবের আবহে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর।‘
তিনি জানান, ছয় জনকেই পৃথকভাবে নাশকতা সংঘটিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই চক্রান্তে হাত থাকতে পারে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমের। তার ঘনিষ্ঠ সমীরকে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ভাড়া করেছিল। তাদের উপর দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরক-সহ গ্রেনেড এবং আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনস্পেক্টর সুনীল রাজৈন এবং রবীন্দ্র জোশির কাছে গোয়েন্দা সূত্র মারফৎ খবর পৌঁছেছিল এই নাশকতার চক্রান্তের। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংগঠন দেশব্যাপী ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছে। সেই গোয়েন্দা সূত্রের খবরকে ভিত্তি ধরেই এই সাফল্য। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন