দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ যে হিংসার ঘটনা ঘটে, তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। চার্জশিটের সঙ্গে সিসিটিভি, ফোন কলের রেকর্ড, এবং ১০০ জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান শারজিলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে, জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন হিংসা ছড়ায়। মূলত দুটি ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ – এক, আন্দোলনকারীদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, যার জেরে আগুন ধরানো হয় একটি বাস সমেত বেশ কিছু গাড়িতে। দুই, জামিয়া মিলিয়া ক্যাম্পাসের ভেতর পুলিশি অভিযানের ঘটনা।
দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গত ২৮ জানুয়ারি বিহারে গ্রেফতার করা হয় শারজিলকে। সোমবার নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে হিংসার মামলায় তাঁকে একদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় দিল্লির এক আদালত। মঙ্গলবার সেই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩ মার্চ পর্যন্ত, জানাচ্ছে পিটিআই।
আরও পড়ুন: ‘মুসলিম কবরের উপরই কি রামমন্দির হবে?’, প্রশ্ন অযোধ্যার সংখ্যালঘুদের
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, শারজিলের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলিই দায়ের করতে চলেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, কিন্তু অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনার আগে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে তারা।
ইতিমধ্যে অবশ্য ক্রাইম ব্রাঞ্চের আন্তঃ-রাজ্য শাখার সৌজন্যে শারজিলের বিরুদ্ধে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক ভাষণের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ক (দেশদ্রোহিতা), ১৫৩ক (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে অসদ্ভাব ছড়ানো) এবং ৫০৫ (প্রকাশ্য কুকার্যে উৎসাহ প্রদান) ধারায় মামলা দায়ের হয়। দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, আসাম, এবং অরুণাচল প্রদেশের পুলিশও তাঁর নামে তথাকথিত দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তদন্তকারী দল জানতে পারে, দিল্লির শাহিনবাগে ডিসেম্বর মাস থেকে চলা সিএএ-বিরোধী ধর্নায় ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন শারজিল ইমাম।