Delhi Riots 2020: দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্তদের আড়াল করতে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো তদন্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। বুধবার ২০২০-র এই ঘটনায় পুলিশের এক আবেদনের শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে দিল্লির এক আদালত। দাঙ্গায় চোখ খোয়ান এক ব্যক্তিকে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। দিল্লি পুলিশ সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে পাল্টা আবেদন করেছিল।
সেই মামলার শুনানিতে দিল্লির ওই আদালত বলেছে, ‘অভিযুক্তকে আড়াল করতেই দিল্লি পুলিশ একটা পৃথক এফআইআর দায়ের করেছিল। এবং তদন্তকারীরা, তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।‘ ভজনপুর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার-সহ তাঁর ঊর্ধ্বতনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে এই কোর্ট নোটিশের প্রতিলিপি দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিশে অধস্তনদের কাজে নজরদারইি করতে এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত বছর অক্টোবরে দিল্লির এক নিম্ন আদালত মহম্মদ নাসিরকে তাঁর অভিযোগ এফআইআর আকারে দাখিল করতে বলে। উত্তর-পূর্ব দিল্লি গোন্ডার বাসিন্দা নাসিরের অভিযোগ, ‘দিল্লি দাঙ্গার সময় তাঁর বাম চোখ গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় নরেশ ত্যাগী, উত্তম ত্যাগী-সহ প্রায় হাফ ডজন অভিযুক্ত। কিন্তু কোনও থানাই তাঁর অভিযোগ না নেওয়ায় তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আদালতের দ্বারস্থ হতে।‘
যদিও এই মামলায় পুলিশ আদালতকে জানিয়েছিল, ‘নাসির যে অভিযোগ করেছে, তদন্তে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকি ঘটনার দিন নাসিরের এফআইআরে উল্লেখ থাকা অভিযুক্তরা দিল্লিতেই ছিলেন না।‘
যদিও নাসিরের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, ‘দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে তাঁর মক্কেলের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রাধান্য দিয়ে একটা পৃথক এফআইআর দায়ের করা উচিত ছিল দিল্লি পুলিশের।‘
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক বিচারক বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসিরের উদ্দেশে গুলি চালনার ঘটনা ঘটলেও, মোহনপুর এবং মৌজপুর এলাকা উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশ ২৫ ফেব্রুয়ারি এফআইআর দায়ের করে। তদন্তে দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু আইপিসির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং ২৫ ধারার কোথাও উল্লেখ নেই এফআইআর-এ।‘
বিস্ময়ের সুরে বিচারকের কটাক্ষ, ’১৭ মার্চ সলমন এবং সমীর সইফি নামে দুই জনকে পুলিশ আটক করেছিল হিন্দুদের সম্পত্তি ভাঙচূরের অভিযোগে। কিন্তু তাঁদের হামলায় কতজন হিন্দু আক্রান্ত বা আহত হয়েছিলেন কোনও উল্লেখ নেই। কিন্তু সেই এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত হতে পারে, এমনটাই তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন