Advertisment

উমর খালিদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করা দুই যুবককে আটক করল দিল্লি পুলিশ

ইতিমধ্যে উমরের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ৩০৭ নম্বর ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। হামলার সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর দুই যুবকের মুখ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
umar-khalid-attack

উমর খলিদের হামলার দায় স্বীকার করা দুই যুবক

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র নেতা উমর খালিদ হামলায় নয়া মোড়। দরবেশ শাহপুর আর নবীন দালালকে আটক করল দিল্লি পুলিশ। ১৪ আগস্টের হামলার দিন দুয়েকের মধ্যেই এই দুই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ভিডিওতে প্রশাসনের উদ্দেশে তারা বলেছিল, ১৭ আগস্ট দুপুরে নিজেরাই আত্মসমর্পণ করবে লুধিয়ানার শিখ বিপ্লবী কর্তার সিং সারাভার বাড়ির সামনে। বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। তারা নিজে থেকে এসে ধরা না দেওয়ায় সোমবার সকালে হরিয়ানা থেকে ওই দুই যুবককে আটক করল দিল্লি পুলিশ। "দুই যুবককে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে তাদের দাবি আদৌ সত্যি কি না," জানালেন স্পেশাল সেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

Advertisment

গত সোমবার দিল্লির রফি মার্গে কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলেও আহত হননি উমর। বন্দুক জ্যাম হওয়ার ফলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল, না কি গুলি আদৌ ছোড়াই হয়নি, তা নিয়ে যদিও সংশয় রয়েছে পুলিশের মধ্যে। দিন দুয়েকের মধ্যে দরবেশ আর নবীনের ভিডিও সাড়া ফেলে দেশ জুড়ে। যুবক দ্বয়ের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবসের আগে নাকি দেশের মানুষকে উপহার দেবেন বলেই আক্রমণ করা হয় 'দেশদ্রোহী' খালিদকে। এর মাঝেই পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, হামলার দায় স্বীকার করা দুই যুবকের মধ্যে নবীন নাকি 'গো-রক্ষক' হিসেবে কাজ করেন।

আরও পড়ুন; ধরা দিল না উমর খালিদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করা দুই যুবক

এই ঘটনার তদন্তে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যে উমরের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ৩০৭ নম্বর ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। হামলার সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর দুই যুবকের মুখ। ১৭ তারিখ ওই যুবক ধরা না দেওয়ায় সমালোচিত হয়েছিল পুলিশের ভুমিকাও। নওজোয়ান ভারত সভার পক্ষ থেকে জনৈক নেতা অরুণ কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুষ্কৃতীরা নিজে থেকে ধরা না দিলে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করছে না কেন এদের? উল্টে এদের কে ‘বীর’-এর সম্মান দেওয়া হচ্ছে।”

এর আগে জুন এবং আগস্ট মাসে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রনেতা জিগনেশ মেভানি এবং শেহলা রসিদের কাছে উড়ো মেসেজ আসে, যার বক্তব্য ছিল, যে কোনও দিন আক্রমণ করা হবে উমর খালিদকে। এর প্রেক্ষিতে 'প্রাণ সংশয়'-এর কারণে লিখিত ভাবে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বাম ছাত্রনেতা। কিন্তু গত দু'মাসে সে ব্যাপারে কোনও সাড়া পাননি, অভিযোগ উমরের।

police JNU
Advertisment