Israel Embassy Blast: ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিম্নমাত্রার বিস্ফোরণে কেঁপেছিল দিল্লির ইজরায়েল দুতাবাস এলাকা। সেই নাশকতার ঘটনায় লাদাখ থেকে ৪ পড়ুয়াকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও এই বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে এনআইএ। কিন্তু ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করে পৃথক তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। সেই সেলের হাতেই কার্গিল থেকে ধৃত ওই ৪ পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি আনা হয়েছে। গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন দুই জনের সন্ধানে ১০ লক্ষ টাকা মাথাপিছু পুরস্কার ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ।
সেই ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই জনকে শনাক্ত করে দিল্লি পুলিশ। সন্দেহ, এঁরাই ইজরায়েল দুতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ রেখেছিল। প্রায় ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে সন্দেহভাজন দুই জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। মাত্র একটা ফুটেজে তাঁদের গতিবিধি ধরা পড়েছে।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে জ্যাকেট পরা এক যুবককে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দূতাবাস এলাকাত পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। পরে ওই ফুটেজে মুখ ঢাকা অবস্থায় দুজনকে ফিরতে দেখা গিয়েছে। তাতেই সন্দেহ হয় দিল্লি পুলিশের।
এযাবৎকাল এই তদন্তে উঠে এসছে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বার্তা পাঠাতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটা এই বিস্ফোরণে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কোনও প্রাণহানির খবর মেলেনি। তারপরেই এনআইএ-র সঙ্গে দিল্লি পুলিশ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
এদিকে, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল হুমকি চিঠি। আর তাতেই দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় রহস্য বাড়িয়েছিল। ঘটনার পরদিন সকালে এলাকায় তল্লাশির সময় পুলিশ একটি হাতে লেখা চিঠি উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘এটা শুধুমাত্র একটা ট্রেলার…।’ লেখা রয়েছে জেনারেল কাশেম সোলেমানির হত্যার বদলা নেওয়ার প্রসঙ্গও। স্বাভাবিকভাবেই এই বিস্ফোরণের সঙ্গে ইরানি যোগ রয়েছে বলেই তদন্তকারীদের সেই সময় অনুমান ছিল।
অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণকে জঙ্গি হামলার চেষ্টা বলে মনে করেছিল ইজারায়েল। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, এটিকে জঙ্গি হামলার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। বিস্ফোরণের পর ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গাবি আশকেনজাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দূতাবাসের সব কর্মী নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন