Advertisment

এআইসিসি কার্যালয়ে হামলা, ধরপাকড়ের পর কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দিল্লি পুলিশের

এফআইআরে অবশ্য দিল্লি পুলিশ কোনও কংগ্রেস কর্মীর নাম উল্লেখ করেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
fir against congress

রাহুল গান্ধীকে বারবার ইডির তলব। আর, সে নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ দেখানো। সেসব রুখতে ধরপাকড়, এআইসিসি দফতরে দলবেঁধে হামলার পর এবার ফের দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস দমনে তৎপর। ব্যারিকেড ভাঙা আর পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করলেন দিল্লি পুলিশের কর্মীরা। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত। মোদ্দা কথায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ঠেকাতে নয়াদিল্লি জেলায় পুলিশ ১৪৪ ধারাও জারি করেছে। নিষিদ্ধ হয়েছে সমস্ত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।

Advertisment

এফআইআরে অবশ্য দিল্লি পুলিশ কোনও কংগ্রেস কর্মীর নাম উল্লেখ করেনি। অজ্ঞাতপরিচয় কংগ্রেস কর্মীদের অভিযুক্ত করেছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুডা জানান, পুলিশকে কাজে বাধা দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছেন। হুডা বলেন, 'বিক্ষোভকারী কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেড ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ কর্মীদের মারধর করেছে। আমরা একটা মামলা করেছি। ঘটনার তদন্ত করছি।'

আরও পড়ুন- আইন মেনে ভাঙতে হবে বাড়ি, যোগী সরকারের জবাবদিহি তলব শীর্ষ আদালতের

যদিও পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনছে, তার কোনও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। উলটে, কংগ্রেস কর্মীদেরকে পুলিশ যে হেনস্থা করছে, তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, এআইসিসির কার্যালয়ে পুলিশই যে দলবেঁধে হামলা চালিয়েছে, তা কংগ্রেসের সদর দফতরের বিভিন্ন ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে।

সেই তথ্যপ্রমাণকে সামনে রেখেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপাল এবং অন্যান্যরা পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কংগ্রেসের দেওয়া সেই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। যে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশকর্মীরা জোর করে এআইসিসি অফিসে ঢুকে এক কংগ্রেসকর্মীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

Read full story in English

CONGRESS rahul gandhi Delhi Police
Advertisment