দিল্লি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে নার্কো পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে সাকেত আদালতে আবেদন জানাল পুলিশ। ভয়াবহ এক অপরাধ করেও আফতাব যেমন নিস্পৃহ, তার সেই আচরণেই হতবাক দিল্লি পুলিশের দুঁদে গোয়েন্দারা। আর, তাই তারা আফতাবের নার্কো পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব আপাতত পুলিশের হেফাজতে। তাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবারই মেহরৌলির জঙ্গল থেকে বেশ কিছু দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৭ বছরের শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তাঁর দেহাংশ এই মেহরৌলির জঙ্গলেই ফেলে দিয়েছিল আফতাব। উদ্ধার হওয়া দেহাংশ আদৌ শ্রদ্ধারই কি না, তা তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশ। দেহাংশগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেতে অন্তত সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে বলেই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাতে ছোট খাটো আঘাত পাওয়ায় আফতাব স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েও চিকিৎসা করিয়েছে। সে নিজেই পুলিশের কাছে একথা স্বীকার করেছে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে নিয়ে ছত্তরপুরের পাহাড়ি এলাকায় থাকত অভিযুক্ত। দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পরই পুনাওয়ালার চাকরি গিয়েছে। যে সংস্থায় সে চাকরি করত, তারা তাকে বরখাস্ত করার চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে পুনাওয়ালা গুরগাঁওয়ের এক সংস্থার হয়ে ক্লায়েন্ট সার্ভিসিং করার দায়িত্বে ছিল। তিন মাস ধরে সে ওই সংস্থায় চাকরি করছিল। পুলিশ এটাও জানতে পেরেছে যে খুনের পর অভিযুক্ত দিন ১৫ এক কল সেন্টারে কাজ করেছে।
আরও পড়ুন- রাজস্থানের দায়িত্ব থেকে মাকেনের ইস্তফা, সংগঠনে প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখে খাড়গে
এর মধ্যেই নিহত শ্রদ্ধা ওয়াকারের এক বান্ধবী অভিযোগ করেছেন, তিনি ২০২১ সালের জুন ও জুলাইয়ে শ্রদ্ধার থেকে টেক্সট মেসেজ পেয়েছিলেন। ওই মেসেজে শ্রদ্ধা অভিযোগ করেছিল যে আফতাব তাঁকে মারধর করছে। সেই খবর পেয়েই তিনি শ্রদ্ধার বাড়িতে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন শ্রদ্ধার বেশ আঘাত লেগেছে। এই ঘটনার পর তিনি শ্রদ্ধাকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। আর আফতাবকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ওই বন্ধুর দাবি, সেই সময় তিনি আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। শ্রদ্ধার ও বন্ধুর অভিযোগ, আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে শ্রদ্ধাই তাঁকে বারণ করেছিল। আর, দিন দুয়েক পরেই আফতাবের কাছে ফিরে গিয়েছিল।
Read full story in English