Farmers Protest: সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পরেই দিল্লি সীমান্ত থেকে ব্যারিকেড সরানো শুরু করল দিল্লি পুলিশ। গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ট্রাফিক চলাচলে গতি বাড়াতে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব অস্থায়ী ব্যারিকেড। রাস্তা থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে পেরেক এবং কাঁচ। এমনটাই দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ বলেন, ‘দিল্লি গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে যানবাহনের গতি সচল রাখতে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।‘
দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, ‘উপরমহল থেকে নির্দেশ পেয়েই ব্যারিকেড হটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিশ্চয় তাঁরা আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত।‘
তবে শুধু দিল্লি পুলিশ, সীমান্ত সংলগ্ন ব্যারিকেড সরাতে সাহায্য করেছেন অবস্থানরত কৃষকরাও। জানা গিয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো সরানোর পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কংক্রিট এবং লোহার বিমের ব্যারিকেড সরানো হবে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে প্রতিবাদ দেখাতে পারেন না কৃষকরা, চলতি মাসেই আরও একবার এবিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজধানী দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে একটানা অবস্থান বিক্ষোভে কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকদের সংগঠনগুলি। অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকায় নয়ডার এক বাসিন্দা আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরানোর দাবি করেন ওই ব্যক্তি। সেই আবেদনের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ‘কৃষকদের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে রেখে তাঁরা প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারেন না।’
কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ জারি রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘোরতর সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দিনের পর দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে হাইওয়ে। সম্প্রতি নয়ডার এক বাসিন্দা কৃষকদের একটানা অবস্থান বিক্ষোভ তোলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। সেই আবেদনের শুনানির ভিত্তিতে এবার কৃষক সংগঠনগুলিকে বিক্ষোভ তুলতে তিন সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর।
কৃষক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। আইনি চ্যালেঞ্জের বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। আমরা তাঁদের প্রতিবাদ করার অধিকারের বিরোধী নই। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।” এর আগেও, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের রাস্তা আটকে প্রতিবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সর্বোচ্চ আদালত। কৃষকদের একটানা আন্দোলনের জেরে রাজধানী দিল্লির সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্যের সংযুক্ত পথ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। যার জেরে ঘুরপথে যাতায়াতে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন