দিল্লিতে মহিলাদের ওপর অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক এক তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দিল্লিতে ১হাজার ১০০ টিরও বেশি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে যে পুলিশের সক্রিয়তাতেই বেড়েছে মামলা দায়ের করার মত ঘটনা। মহিলাদের জন্য আলাদা হেল্পলাইন এবং বুথ চালু করার কারণে মামলার সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ বলেছে যে তারা এই অপরাধের উপর নজর রাখতে টহলদারি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানা গেছে, এই বছর এ পর্যন্ত প্রতিদিন অন্তত রাজধানী জুড়ে ৬ টি ধর্ষণের মামলা এবং সাতটি শ্লীলতাহানির মত কেস রেজিস্টার করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ৬ শতাংশ এবং নারী নির্যাতন ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে ১,৪৮০ টি শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই ধরনের মামলার সংখ্যা ছিল ১,২৪৪ টি। দিল্লি পুলিশের তথ্য অনুসারে চলতি বছর মহিলাদের অপহরণের ঘটনাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২,১৯৭ অপহরণ মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি৷
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা মহিলার পূর্বপরিচিত। পাশাপাশি অপরাধটি তার বাসভবনে বা তার কাছাকাছি ঘটেছে। করোনা মহামারীর পরে, গার্হস্থ্য হিংসার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এই বছর ২,৭০৪ টি গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এছাড়াও,তথ্য দেখায় ঘটনার ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: < থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর দেহে মিলল HIV ভাইরাস, ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে FIR দায়ের >
দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া বলেছেন, “যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলি অপরাধের পাশাপাশি একটি সামাজিক সমস্যা। প্রতিরোধমূলক দিক থেকে, আমরা নিশ্চিত করি যে শিশু এবং যুবতী মহিলারাদের জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ বিশেষে হেল্পলাইন এবং বুথ চালু করেছে। আগের থেকে অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি আরও সহজ করে তোলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এই অপরাধগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তদন্তের কাজ শেষ করে। যেহেতু এসব অপরাধের বেশির ভাগই চার দেওয়ালের আড়ালে ঘটে, তাই যখন রিপোর্ট করা হয় তখনই পুলিশ সেগুলি সম্পর্কে জানতে পারে।”