একের পর এক সংক্রমণ সামনে আসতেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগ আরও গভীর হতে শুরু করেছে। আবারও দিল্লিতে খোঁজ মিলল আরও এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের। জানা গিয়েছে এবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বছর ৩০ এর এক নাইজেরিয়ান মহিলা। যিনি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতেই রয়েছেন।
বুধবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক আসতেই জাতীয় রাজধানীতে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। একই সঙ্গে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী য মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ তবে খুব স্বল্প সংখ্যায় নারী এবং শিশুদের মধ্যেও মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে যা নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে।
দিল্লি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২১ দিনে ওই মহিলার কোন বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তা সত্ত্বেও কীভাবে আক্রান্ত হলেন ওই মহিলা তা নিয়েই শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত, কেরালা থেকে রিপোর্ট করা পাঁচটি ক্ষেত্রেই বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে৷ মহিলা ছাড়াও দিল্লিতে আরও এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাদের লোক নায়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও চার নাইজেরিয়ানের মধ্যে যোগাযোগের কোন ইতিহাস নেই বলেই জানা গেছে। চারজনই এক মাসের বেশি সময় দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন। তিনজনই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে এব্যাপারে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। চতুর্থ সন্দেহভাজনের ক্ষেত্রে একই রকম লক্ষণ রয়েছে। লোক নায়ক হাসপাতালের এক সিনিয়র চিকিৎসকের কথায়, “চারজনের মধ্যেই জ্বর, ফুসকুড়ি মুখ ও উরুতে আলসারের মত উপসর্গ দেখা গেছে”।
আরও পড়ুন: <আজ দিল্লিতে মমতা, ‘দিদি-মোদী সেটিং’ তত্ত্বে সুর চড়া করছে বিরোধীরা>
রবিবার এবং সোমবার দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নাইজেরিয়ার তিন নাগরিকের মধ্যে দু’জনের শরীরেই মিলেছে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস। উল্টোদিকে, এদিনই দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত দুই নাইজেরিয়ানই দিল্লির রেস্তোঁরায় কাজ করেন। বিশ্বের বহু দেশে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক তুঙ্গে তুলেছে এই ভাইরাস। ভারতে এখনও পর্যন্ত ৯ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। কেরলে পাঁচ আক্রান্তের প্রত্যেকেরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফেরার ইতিহাস ছিল। তবে দিল্লিতে তিন আক্রান্তের অবশ্য বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
আরও পড়ুন: < Explained: বিমানে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সঙ্গে ভ্রমণ করলে কতটা ঝুঁকি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য? >
ভাইরাল ইনফেকশন ডিটেক্ট করার ব্যাপারে যাবতীয় তৎপরতা নিতে এবার আরও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি নিরীক্ষণের জন্য নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভি কে পলের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের সচিবদের রাখা হয়েছে।