ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ইতিমধ্যে আটদিন পেরিয়ে গেছে। চলছে আলোচনা । কিন্তু সেভাবে এখনও কোন সমাধান সূত্র সামনে আসেনি। ইউক্রেনের একাধিক শহরে হামলা জারি রেখেছে রাশিয়া। খারকিভে চলছে ব্যাপক যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বহু ভারতীয় ইউক্রেনে আটকা পড়েছেন। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে অপারেশন গঙ্গা শুরু করেছে মোদী সরকার। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বড় দাবি প্রকাশ্যে এসেছে। পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনে তিন হাজারের বেশি ভারতীয় ছাত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুতিন আরও বলেন, চিনা ছাত্রদেরও বন্দি করা হচ্ছে ইউক্রেনে। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন বিদেশিদের সরিয়ে নিতে বিলম্ব করার চেষ্টা করছে, তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।’ এই দাবি সামনে আসতেই তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর পুতিন এই কথা বলেন। এদিক খারভিক ছাড়ার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারতীয়দের ‘বন্দি’ করে রাখা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে এর আগে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, এই প্রসঙ্গে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারত ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ভারতীয় ইউক্রেন ছেড়েছেন। ইউক্রেনের তারিফ করছি, তাঁরা সমস্য়ায় থেকেও আমাদের পড়ুয়াদের নিরাপদে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিবেশীরাও সহায়তা করেছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ।’
জনগণের দুর্দশার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে পুতিন দাবি, তাঁর সেনাবাহিনী নিরাপদ করিডোর দিয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পারে। এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভারত সরকার এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে খারকিভে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্দেশে। তাতে অবিলম্বে খারকিভ ছেড়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের। এই আবহে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পূর্ব ইউক্রেন থেকে নিরাপদ এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা।
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ হামলা জারি রয়েছে। মারিউপোলের কাছেও প্রবল যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ান সামরিক বাহিনী মনে করে এই এলাকা খেরসন নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় ইউক্রেনীয় প্রশাসনিক কর্তারাও নিশ্চিত করেছেন যে রাশিয়ান বাহিনী ২.৮ লক্ষ মানুষের বসবাস থাকা ব্ল্যাক সি পোর্টের স্থানীয় সরকারি সদর দফতরগুলির দখল নিয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিই ইউক্রেনের প্রথম প্রধান শহরের পতন হল।