School Reopens: অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যে সরকারি স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। এবার সেপ্টেম্বরে পর্যায়ক্রমে দিল্লিতে খুলছে স্কুল। শিক্ষা দফতর সূত্রে এই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। আর ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ষষ্ট-অষ্টম শ্রেণির ক্লাস। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা দফতরের পরিসংখ্যান মোতাবেক, সেই রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে প্রায় ৯০% শিক্ষাকর্মীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।
ইতিমধ্যে ১৬ অগাস্ট থেকে দিল্লির স্কুলের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। এবার প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিকস্তরে স্কুলের পঠনপাঠন চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি সরকার। এদিকে করোনাকালে পরীক্ষার ফি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। অতিমারীর এই কালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের একাধিক ফি মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নোটিশ জারি করে ফি মুকুবের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে বহু পরিবার দারুণ সংকটে পড়েছে। মাসের পর মাস ধরে চলা লকডাউনের জেরে ছোটো-বড় একাধিক প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলেছে। বহু মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। চাকরিজীবীরা তো বটেই এছাড়াও ব্যবসায়িক একাধিক প্রতিষ্ঠানেই অর্থ সংকট চরমে উঠেছে। গোটা দেশেই এই ছবিটা মোটের উপর একই। এরাজ্যেও এমন নজির কিছু কম নয়। করোনা মানুষকে শারীরিক দিক থেকে দুর্বল করার পাশাপাশি বড়সড় প্রভাব ফেলেছে সামিজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপরেও।
মহামারীর এই কালে একটানা বেশ কয়েক মাস স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জনজীবন। বাধ্য হয়েই অনেকে রুজি-রোজগারের জন্য অন্য জীবিকা বেছে নিয়েছেন। পরিবারের চরম আর্থিক অনটনের জন্য অনেক পড়ুয়াও ঘোর সংকটে পড়েছেন। সংসার চালাতে পরিবারের বড়দের সঙ্গে কাজে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে বহু পড়ুয়াদেরও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন