'দিলদার' দিল্লির ছবি এখন অতীত। হিংসার গ্রাসে রাজধানী শহর। বুলেট ছুটেছে মুড়ি মুড়কির মত। বন্দুকের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখি। কিন্তু, কোথা থেকে এল এত বন্দুক-গুলি? আপাতত তারই খোঁজে দিল্লি পুলিশ।
Advertisment
এখনও পর্যন্ত দিল্লি হিংসার বলি ৩৮। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বি-শতাধিক আহতের মধ্যে ৮২ জন গুলিতে জখম হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ২১ জনই গুলির আঘাতে নিহত। এর মধ্যেই রয়েছেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালও। পুলিশের তরফে দিল্লি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ (নিহত-আহত) ২৫০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন বুলেটে জখম।
Advertisment
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহত ৩৮ জনের মধ্যে ২৯ জনের দেহ সনাক্ত করতে পেরেছেন। গুলিতে জখম ছাড়াও রয়েছে অ্যাসিড আক্রমণ, ছুরি বা তলোয়ারে জখমের ঘটনাও। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, 'হিংসাদীর্ণ দিল্লি থেকে ৩২, ৯, ৩১৫ এমএম কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও খেলনা বন্দুকের কার্তুজও ব্যবহার করা হয়েছে।'
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে ইঙ্গিত,সাধারণ অপরাধীরা দেশি পিস্তল কার্তুজ মজুত করেছিল। হিংসার সময় যা স্থানীয় বেকার যুবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় পুলিশ বেশ কিছু তলোয়ার, ছুরি উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দিল্লি হিংসার বলি ৩৮।
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসারের থেকে দ্য ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, 'অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিলোনোর ক্ষেত্রে পুলিশের খাতায় আগে নাম রয়েছে এমনসব স্থানীয় ডাকাত, ছিনতাইকারীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। পুলিশের কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে। তাদের বাড়ি সহ নানা জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে। তারা অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।'