দিল্লি হিংসায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়ালো। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় নিহত বেড়ে হল ৫৩। জিটিবি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। লোক নায়ক হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ৩, আরএমএল হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ৫ ও জগ প্রবেশ হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ১। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দিল্লি।
দিল্লি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। হিংসায় আক্রান্তদের জন্য ৯টি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছে সরকার। পাশাপাশি, হিংসায় যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন: আইবি অফিসার খুনে গ্রেফতার আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেন
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌজপুর, জাফরাবাদ, শিব বিহার, মুস্তাফাবাদ ও ব্রিজিপুরে হিংসার ঘটনায় মোট ৬৫৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইন প্রয়োগে পুলিশ ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রও ব্যর্থ হবে: ডোভাল
এদিকে, দিল্লিতে আইবি অফিসারকে খুনের অভিযোগে শুক্রবার আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা চালাকালীন আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মাকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তাহিরের বিরুদ্ধে। যদিও এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ওই আপ কাউন্সিলর।
বুধবার দিল্লিতে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরদির্শনে যান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার ব্রিজিপুরি এলাকায় একটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘ঘৃণা ও হিংসা সব ধ্বংস করে দিয়েছে’’। এ প্রসঙ্গে সোনিয়া পুত্র আরও বলেন, ‘‘ভারত ভাগ হয়ে যাচ্ছে । এতে কারও লাভ হচ্ছে না’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন