দিল্লি হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৬।
গত রবিবার জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তা গত সোমবার থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। পাথর, আগুন, গুলি, ছুরি, অ্যাসিড– সবকিছুরই সাক্ষী থেকেছে রাজধানীর উত্তর পূর্ব অংশ। হিংসার বলি হতে হয়েছে ৪৬ জনকে। আহত কয়েক শো বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশি হস্তক্ষেপে যখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল তখনই রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিম দিল্লিতে নতুন করে উত্তেজনা খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফের আতঙ্ক দানা বাঁধে। পরে দিল্লি পুলিশের তরফে টুইটে জানানো হয়, কোথাও কোনও অশান্তি নেই। গুজবে কান না দেওয়ার জন্যও আর্জি জানানো হয়। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আরপি মিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আমরা বহু ফোন পেয়েছি। সব ফোনই ভুয়ো বলে দেখা গিয়েছে। আমরা ফোনকলগুলি ইনস্পেক্টর এসএইচও-কে পাঠিয়েছি। মানুষের সঙ্গেও কথা বলা চলছে।”
আরও পড়ুন: ‘আপনারা মিথ্যা বলছেন’, ‘দেশ কে গদ্দারো কো’ স্লোগান ‘অস্বীকার’ অনুরাগের
অশান্তির নতুন খবরে তিলক নগর, নাঙ্গোলি, সুরজমল স্টেডিয়াম. বদরপুর, তুঘলকাবাদ, উত্তমনগর পশ্চিম এবং নওয়াদা মেট্রো স্টেশন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন। পরে স্টেশনগুলি খুলে দেওয়া হয়।
অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের ভরকেন্দ্র শাহিনবাগে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন