দিল্লি হিংসায় নিহতদের ময়নাতদন্ত ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ময়নাতদন্তে কেন এত দেরিতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মামলা হয় আদালতে। সেই মামলাতেই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত। দিল্লি আদালত জানিয়েছে, দিল্লি হিংসায় নিহত যুবকের ময়নাতদন্তের ভিডিও করতে হবে, তুলে রাখতে হবে ছবি।
Advertisment
গত ২৬ জানুয়ারি মৃত্যু হয় বছর ২৩-য়ের যুবকের। পরিবারের অভিযোগ, থানায় অত্য়াচারের দরুণ ওই যুবকের প্রাণ গিয়েছে এলএনজেপি হাসপাতালে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে নিহতের ভাইয়ের তরফে আদালতে আবেদন জানান আইনজীবী মানেকা খান্না। থানায় গিয়ে আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পুলিশ দেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়। আদালত জানিয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অনুসরণ করে ময়নাতদন্তের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখতে হবে। ওই যুবকের দেহ বর্তমানে মর্গে রয়েছে।
উত্তর পূর্ব দিল্লিতে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। অধিকাংশ নিহত পরিবারের তরফে ময়নাতন্ত ও দেহ হস্তান্তরে দেরি হচ্ছে বলে কাঠগড়ায় তোলা হয় দিল্লি পুলিশকে।
এদিন কোর্টের তরফে বলা হয়, 'ভজনপুরী থানায় তদন্তকারী অফিসার ২৭ ফেব্রুয়ারি এলএনজেপি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে জবাব দিয়েছেন। লাশটি এলএনজেপি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আজ বা আগামীকাল মঙ্গলবার ময়না তদন্ত করা হবে।'
গত রবিবার জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তা গত সোমবার থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। পাথর, আগুন, গুলি, ছুরি, অ্যাসিড– সবকিছুরই সাক্ষী থেকেছে রাজধানীর উত্তর পূর্ব অংশ। হিংসার বলি হতে হয়েছে ৪৬ জনকে। আহত কয়েক শো বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি হস্তক্ষেপে যখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল তখনই রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিম দিল্লিতে নতুন করে উত্তেজনা খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফের আতঙ্ক দানা বাঁধে। পরে দিল্লি পুলিশের তরফে টুইটে জানানো হয়, কোথাও কোনও অশান্তি নেই।