দক্ষিণ দিল্লির একটি মসজিদে মে মাস থেকে প্রার্থনা বন্ধ করার বিষয়ে এক নির্দেশের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে নিজেদের মতামত জানাল। সরকার জানিয়েছে যে কুতুব মিনারের পূর্ব গেটের পাশে অবস্থিত এই মসজিদটি একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ। নিয়ম অনুসারে, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তাদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় কেবল 'উপাসনার যোগ্য' হলেই সুরক্ষিত স্থানে প্রার্থনার অনুমতি দেয়। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে সরকার।
বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির বেঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী কীর্তিমান সিং মৌখিকভাবে তাঁর এই বক্তব্য জানান। পাশাপাশি তিনি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, যে সাকেত আদালতে এই মসজিদের বিষয়ে শুনানি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মসজিদ ব্যবস্থাপনা এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী ওয়াজিহ শফিক ও এম সুফিয়ান সিদ্দিকি। তাঁরা অভিযোগ করেন, কুতুব মিনার চত্বরের ভিতরে থাকা মসজিদটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ করলে প্রমাণও দিতে হবে, স্পষ্ট কথা হাইকোর্টের
মসজিদ ব্যবস্থাপনা এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের হলফনামায় বলা হয়েছে যে মুঘল মসজিদটি কুতুব মিনার চত্বরের প্রবেশদ্বারে রয়েছে। এর কাছে রয়েছে কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ। মুঘল আর কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ দুটো আলাদা। এর মধ্যে কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ নিয়ে সাকেত আদালতে মামলা চলছে। মুঘল মসজিদ নিয়ে চলছে না। মুঘল মসজিদ মোটেও প্রচারিত সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ নয়। এর আগে মুঘল মসজিদ কখনও উপাসনার জন্য বন্ধও রাখা হয়নি।
মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির তরফে আইনজীবী সিদ্দিকি আদালতে জানান, মে মাসে যখন মুঘল মসজিদে নমাজ বন্ধ করা হয়েছিল, সেই সময় কর্তৃপক্ষের থেকে লিখিত জবাব চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। যাইহোক, বিচারপতি ওহরি কেন্দ্র এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগকে আবেদন জানানোর সময় দিয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এর আগে আদালত ১৪ জুলাই কেন্দ্র এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগকে এই মামলায় আবেদন জানানোর জন্য সময় দিয়েছিল। তবে, লিখিত হলফনামা দাখিলের নির্দেশ এখনও জারি করা হয়নি।
Read full story in English