ব্যক্তিগত শত্রুতার জের, দিল্লির ২০ বছর বয়সী এক মহিলাকে অপহরণ করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে জুতোর মালা পরিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরতেও বাধ্য করা হয়। , এমনকী অভিযুক্তরা মহিলার চুলও কেটে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে বুধবারের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে শাহদারায়। ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
সোশাল মিডিয়ায় নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বলে দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল টুইটে জানিয়েছেন, 'বেআইনি মদ বিক্রেতাদের দ্বারা ২০ বছর বয়সী মহিলা গণর্ষণের শিকার। তাঁকে বিবস্ত্র করে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে, মুখে রং মাখিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়েছে। আমি দিল্লি পুলিশকে অভিযুক্ত সব পুরুষ ও মহিলাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নোটিস দিয়েছি। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার কথাও বলেছি।'
যদিও পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগ মানতে নারাজ। পুলিশের দাবি, মহিলা প্রতিবেশীদের দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ ওই নির্যাতিতার বিষয়ে জানিয়ে এলাকাবাসীদের কেউ পুলিশে খবর দিয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (শাহদারা) আর সত্যসুন্দরম বলেছেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেছে যে, একদল লোক রাস্তায় একজন মহিলাকে ঘোরাচ্ছে এবং তাকে মারধর করছে। মহিলাকে জুতোর মালা পরতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং তার মুখে কালো রঙ মাখানো ছিল। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তাঁকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। আমরা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। পরিবারের তরফে মহিলাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে।'
টুইট পোস্টে ডিসিপি জানান, 'শাহদারা জেলায় ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে একজন মহিলাকে অপহরণ, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে… এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে টিম মোতায়েন করা হয়েছে।'
অভিযোগ, নির্যাতনের আগে ২০ বছর বয়সী ওই মহিলা শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন। তখন মহিলার বাপের বাড়ির কাছে থাকা কয়েকজন তাঁকে অপহরণ করে। অভিযুক্তরা মহিলাকে মারধর, যৌন নির্যাতন করেছে এবং তারপর তাকে জনসমক্ষে অপমান করেছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় একই পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের এখ আধিকারিক বলেছেন, 'উদ্দেশ্য পরিষ্কার না হলেও আমাদের বলা হয়েছে যে নির্যাতিতার অভিযুক্ত পরিবারের এক সদস্যেকে চিনতেন। পরে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সন্দেহ, ওই মহিলা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল এবং প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। আমরা এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
Read in English