বয়ফ্রেন্ডের নাবালক ছেলেকে খুন করে দেহ বিছানায় লুকিয়ে রাখার অভিযোগ। হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় বিরাট সাফল্য পুলিশের। ৩০০ সিসিটিভিতে তল্লাশি চালিয়ে বড় রহস্য উদঘাটন! দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকায় ২৪ বছরের এক তরুণীর বিরুদ্ধে তার প্রেমিকের ১১ বছরের ছেলেকে খুনের অভিযোগ সামনে এসেছে। বক্স খাটে লুকিয়ে রাখা হয় নাবালক ছেলের দেহ। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।
রাজধানীর ইন্দ্রপুরী এলাকায় ১১ বছর বয়সী দিব্যাংশকে (বিট্টু) শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ ঘরের ভিতরেই বক্স খাটে লুকিয়ে রাখল বাবারই প্রেমিকা। অভিযোগের পরই তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বছর-২৪-এর তরুণীকে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তরুণীর নাম পূজা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূজা ও তার প্রেমিকের মধ্যে বচসার বলি হতে হয় নাবানল ছেলেকে। জানা গিয়েছে ১০ আগস্ট বিকেলে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় ছোট্ট দিব্যাংশকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পূজা। খুনের পর দেহ বিছানার ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়।
পূজা এবং জিতেন্দ্র ২০১৯ সাল থেকে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। জিতেন্দ্র তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পূজাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালে, জিতেন্দ্র পূজাকে ছেড়ে চলে যান এবং তার স্ত্রী এবং ছেলে দিব্যাংশের সঙ্গেই ফের থাকতে শুরু করেন। পূজা মনে করেছিল যে জিতেন্দ্র তার ছেলে দিব্যাংশের কারণে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে, তারপরে সে দিব্যাংশকে জিতেন্দ্র এবং নিজের মধ্যে কাঁটা হিসাবে ভাবতে শুরু করে পূজা।
১০ অগাস্ট পূজা, এক বন্ধুর কাছ থেকে ইন্দ্রপুরীতে জিতেন্দ্রের বাড়ির ঠিকানা জানতে পারেন। এরপর তিনি যখন জিতেন্দ্রের বাড়িতে পৌঁছান, তখন বাড়ির দরজা খোলা ছিল। পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় বাড়িতে কেউ’ই ছিল না এবং দিব্যাংশ বিছানায় ঘুমাচ্ছিল। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অভিযুক্ত পূজা জিতেন্দ্র ও নিজের মধ্যে থাকা কাঁটাকে সরিয়ে দিতে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার প্রায় ৩০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ স্ক্যান করা হয়। ৩ দিন কঠোর পরিশ্রমের পর অভিযুক্ত পূজাকে বক্করওয়ালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে পূজা।