Air Quality Index: পূর্বাভাস ছিলই, সেই পূর্বাভাস মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দূষিত কুয়াশায় ঢাকল দিল্লির আকাশ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আতসবাজি পোড়ানোর জেরে রাজ্যের বায়ু দূষণ সূচক ৪৫০ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে সেই রাজ্যের দূষিত বায়ু। একই অবস্থা দিল্লি সংলগ্ন ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ, নয়ডা এবং গুরগাঁওয়ের। ৪০০-র উপরেই বায়ু দূষণ সূচক।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, দূষণ সূচক ৩০১-৪০০-র মধ্যে থাকলে, সেটা খুব খারাপ অবস্থা। ৪০০ পেরোলেই সঙ্কটজনক অবস্থা। কালীপুজোর দিন একটা সময় দিল্লির দূষণ সূচক ছাড়িয়েছিল ৪৫০। দীপাবলির আগে বাজি-বিরোধী প্রচারেও কান দেয়নি আম জনতা। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বাজির ধোঁয়ায় ভরে যায় দিল্লির আকাশ।
এদিকে, বাজির জেরে দিল্লির আকাশের দূষণ সঙ্কটজনক হলেও, খুব একটা ঝুঁকি নেই মুম্বইয়ের। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাণিজ্য নগরীর দূষণ সূচক মধ্যমমানের। অর্থাৎ ১৪৯-১৬৫ ধরা পড়েছে। অপরদিকে, দিল্লিবাসীর জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে দূষণ সূচক। দীপাবলির আবহে খুব খারাপ থাকবে সেই রাজ্যের বায়ু দূষণের মাত্রা। কালীপুজো এবং দীপাবলিতে যদি বাজি পোড়ে তাহলে সেই মাত্রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছবে। আগামি শুক্রবার পর্যন্ত বায়ু দূষণের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে বিধি ভেঙে বাজি পোড়ান হলে সপ্তাহের শেষে মাত্রাছাড়া হবে দূষণ। সেই ইঙ্গিতও দেওয়া পূর্বাভাসে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বাতাসে দূষণ মাত্রা খুব খারাপ। বায়ু দূষণের সূচকমাত্রা ৩০১-৪০০ থাকলে তাকে খুব খারাপ অবস্থা ধরা হয়।
সেই মাত্রাই ফুটে উঠেছে সূচকে। এর মধ্যেই বাজি পোড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। সব বাজিকে নিষিদ্ধের তালিকায় ফেলা যাবে না বলে মত শীর্ষ আদালতের। পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না বলে জানাল সর্বোচ্চ আদালত। তবে সেই বাজি আদৌ পরিবেশবান্ধব কিনা তা যাচাই করার ভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে। এর আগে কালীপুজো ও দিওয়ালিতে সব ধরনের বাজির উপরেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুর্প্রিম কোর্টে।
দিন কয়েক আগেই কালীপুজোয় সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু কালীপুজোই নয়। ছটপুজো, জগদ্বাত্রী পুজো-সহ চলতি বছরের সব উৎসবেই বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে জানায় উচ্চ আদালত।
এক্ষেত্রে হাইকোর্টের যুক্তি ছিল, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এখনও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের কাছে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায়ও নেই। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবেই এবছরও সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় কলকাতা হাইকোর্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন