Delhi: দিল্লিবাসীর জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে দূষণ সূচক। দীপাবলির আবহে খুব খারাপ থাকবে সেই রাজ্যের বায়ু দূষণের মাত্রা। কালীপুজো এবং দীপাবলিতে যদি বাজি পোড়ে তাহলে সেই মাত্রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছবে। আগামি শুক্রবার পর্যন্ত বায়ু দূষণের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে বিধি ভেঙে বাজি পোড়ান হলে সপ্তাহের শেষে মাত্রাছাড়া হবে দূষণ। সেই ইঙ্গিতও দেওয়া পূর্বাভাসে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বাতাসে দূষণ মাত্রা খুব খারাপ। বায়ু দূষণের সূচকমাত্রা ৩০১-৪০০ থাকলে তাকে খুব খারাপ অবস্থা ধরা হয়।
সেই মাত্রাই ফুটে উঠেছে সূচকে। এদিকে, বাজি পোড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। সব বাজিকে নিষিদ্ধের তালিকায় ফেলা যাবে না বলে মত শীর্ষ আদালতের। পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না বলে জানাল সর্বোচ্চ আদালত। তবে সেই বাজি আদৌ পরিবেশবান্ধব কিনা তা যাচাই করার ভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে। এর আগে কালীপুজো ও দিওয়ালিতে সব ধরনের বাজির উপরেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুর্প্রিম কোর্টে।
দিন কয়েক আগেই আসন্ন কালীপুজোয় সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু কালীপুজোই নয়। ছটপুজো, জগদ্বাত্রী পুজো-সহ চলতি বছরের সব উৎসবেই বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে জানায় উচ্চ আদালত।
এক্ষেত্রে হাইকোর্টের যুক্তি ছিল, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এখনও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের কাছে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায়ও নেই। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবেই এবছরও সব ধরনের বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় কলকাতা হাইকোর্ট।
অপরদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। মমালার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সব ধরনের বাজিকেই নিষিদ্ধের তালিকায় ফেলা যাবে না।
পাশাপাশি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক আতসবাজি নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার শীর্ষ আদালত সার্বিক ভাবে সেই নিষেধ কার্যকর করতে নির্দেশ দিল। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আতসবাজি নিষিদ্ধ করে কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়নি। বৃহৎ জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। আমরা চাই সামগ্রিক ভাবে এই নির্দেশ কার্যকর হোক।‘
বিচারপতি এমআর শাহ এবং এএস বোপান্নার এই বেঞ্চ বলেছে, ‘ফুর্তির আড়ালে আপনারা (বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা) মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে পারেন না। আমরা কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরোধী নই। কিন্তু একটা কড়া বার্তা দিতে চাই। আমরা নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে চাই।‘
তাদের মন্তব্য, ‘সব বাজি নিষিদ্ধ হয়নি। আগের সিদ্ধান্ত বৃহৎ জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট কারণে আতসবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন একটা প্রচার ছড়ানো হয়েছিল। আগেরবার আমরা বলেছিলাম মানুষের ফুর্তির মাঝে আসব না। ঠিক সেভাবেই আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার মাঝেও আসব না।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন