পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবিতে ঘেরাও জামিয়ার উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের দরজা ভেঙে উপাচার্যের অফিসের সামনে বসে স্লোগান দিতে থাকে পড়ুয়ার দল। উপাচার্যের উত্তরের দাবি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের দরজা ভেঙে উপাচার্যের অফিসের সামনে বসে স্লোগান দিতে থাকে পড়ুয়ার দল। উপাচার্যের উত্তরের দাবি জানানো হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জামিয়ার উপাচার্য ঘেরাও।

গত ডিসেম্বরে বিনা অনুমতিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পড়ুয়ারা। সমালোচনায় মুখর হয় সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। পুলিশের বিরুদ্ধে এইআইআর করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। জামিয়ার উপাচার্য নাজমা আখতার সেই সময় ঘটনার নিন্দা করেন। সোমবার তিনি জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের কাজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। এরপরই উপাচার্যের অফিস ঘেরাও করে শতাধিক পড়ুয়া। গত মাসের ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের দাবি জানাতে থাকে পড়ুয়ারা। এছাড়াও, ঘেরাওকারীদের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার সময়সূচি পুননির্ধারণের দাবি জানানো হয়।

Advertisment

ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন এফআইআর দায়ের করেনি। কারণ জানতে চেয়ে সোমবার সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে পড়ুয়ারা। মেন গেটের দরজা ভেঙে উপাচার্যের অফিসের সামনে বসে স্লোগান দিতে থাকে পড়ুয়ার দল। উপাচার্যের উত্তরের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন: জামিয়ার প্রতিবাদে গুলি চালিয়েছে পুলিশই, তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য

Advertisment

১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া চত্বরে সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি হানার জেরে দিল্লিতে ব্যাপক উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই জোর করে ঢুকে পড়ে পুলিশ, চালানো হয় কাঁদানে গ্যাস, এবং লাইব্রেরি ও মসজিদ থেকে টেনে বের করে এনে হামলা করা হয় পড়ুয়াদের ওপর।

পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছিলেন জামিয়ার উপাচার্য নাজমা আখতার। সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা ও ভাঙচুরের অভিযোগে এফআইআর করার কথা জানিয়েছিলেন উপাচার্য। উপাচার্যের সেদিনের ভূমিকায় আশ্বস্ত হন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ আন্দোলন প্রত্যাহার করে তারা। কিন্তু, এরপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এফআইআর না হাওয়াতেই ক্ষোভ বাড়ে পড়ুয়াদের।

Read the full story in English

national news caa