মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্প বা ১০০ দিনের কাজের চাহিদা লকডাউনে প্রবলভাবে বেড়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখা যাচ্ছে যে, ১০০ দিনের কাজের চাহিদা এখনও প্রাক-মহামারি পর্বের তুলনায় বেশি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগে সোমবার লোকসভায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-২৩ পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। সেই সীক্ষাতেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
সমীক্ষায় উল্লেখ,, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে চাহিদার সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণ করলে গ্রামীণ শ্রমবাজারের প্রবণতার নির্দেশ মেলে। সেই অনুসারে, (i) 2020 সালে দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কর্মসংস্থান শীর্ষে পৌঁছেছে (ii) ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কোভিড দ্বিতীয় তরঙ্গের পরে অনেকটাই স্থিতিশীল (iii) সামগ্রিকভাবে ১০০ দিনেরর কাজ প্রকল্পে কর্মসংস্থান প্রাক-মহামারি পর্বের তুলনায় এখনও বেশি।
'দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন, ১০০ দিনের কাজের সামগ্রিক চাহিদা ২০২০ সালের জুনে শীর্ষে পৌঁছেছিল এবং তারপরে স্থিতিশীল হয়েছে। দ্বিতীয় কোভিড তরঙ্গের সময় ২০২১ সালের জুন মাসে ১০০ দিনের কাজে কর্মসংস্থানের চাহিদা ৪.৫৯ কোটি স্পর্ষ করেছিল, যা ছিল সর্বোচ্চ। তা সত্ত্বেও, সবমরসুমের হিসাব খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে যে, ১০০ দিনের কাজের চাহিদা এখনও ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারি পর্বের উপরে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কর্মসংস্থানের চাহিদা প্রাক মহামারি পর্বের তুলনায় নিম্নমুখী।
অনেকেই মনে করতে পারেন যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের চাহিদা যুক্ত এবং পরিযায়ী শ্রমিক উৎসকারী রাজ্যগুলিতে এর প্রভাব বেশি। কিন্তু রাজ্যস্তরের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে- পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহারের মতো অনেক পরিযায়ী শ্রমিক উৎসকারী রাজ্যে ২০২১ সালে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা ২০২০-র তুলনায় কম। সমীক্ষায় এও প্রকাশ যে, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর মত পরিযায়ী শ্রমিক-প্রাপক রাজ্যগুলিতে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বেশি ছিল।
'অতএব গত দুই বছরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কর্মসংস্থানের চাহিদা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যে সম্পর্ক এখনও চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায় না। এ জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।'
Read in English