সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রেনের চাহিদা। এযাবৎকাল দেশের লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন ও কার্ফুর কারণে ‘বন্দি’ ছিলেন। আনলক পর্ব শুরু হতেই তাঁরা বাড়ি বা কর্মস্থলে ফিরতে ট্রেনের মুখাপেক্ষী। কিন্তু এখনই পুরোদমে ট্রেন পরিষেবা চালুর কোনও পরিকল্পনা নেই মন্ত্রকের। বুধবার অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৮ জুন অবধি দিনপ্রতি ১৩ লক্ষ যাত্রী লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেনে সওয়ারি হয়েছেন।
মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ। তবে সংবাদমাধ্যমকে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা বলেন, ‘চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হবে ট্রেন পরিষেবা। তবে এখনও কিছু রাজ্যে করোনা বিধি লাগু থাকায় পুরোদমে ট্রেন পরিষেবা চালু নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তৈরি করা হয়নি নির্দিষ্ট টাইম টেবিল।‘
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ওই রেলকর্তা বলেছেন, ‘এখন প্রতিদিন ৮৮৯টি করোনা স্পেশাল ট্রেন মেল বা এক্সপ্রেস চলছে। শহরতলির জন্য ট্রেন চলছে ২৮৯১টি। আরও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ২৬টি স্পেশাল ট্রেন চলবে আর প্রায় ৫০০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে।‘
তিনি দাবি করেন, ‘যাত্রী ভার লাঘব করতে দেশের একাধিক শহর থেকে গত ৩ মাসে ৫০০টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয়েছে। মূলত ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের স্বগৃহে ফেরাতে এই ট্রেন চলছে।‘
রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘গত বছর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৮৭৩৩ জন মারা গিয়েছে। মৃতেরা রেল সম্পত্তির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করেছিল। তাই একে সেভাবে দুর্ঘটনা বলা যাবে না।‘
Demands are high for Local and Express Train while Corona graph sees downfall, National: