দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের মিশন কাশ্মীর মানে, বন্দুকের নলের বদলে গণতন্ত্রের বার্তা উপত্যকার প্রতিটি বিন্দুতে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই ২৪ এপ্রিল কাশ্মীর সফরের কর্মসূচি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্তবর্তী সাম্বা জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর এটাই প্রথম কাশ্মীর সফর নয়। তবে, নতুনত্ব বলতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম তিনি উপত্যকায় পা রাখছেন।
শুধু তাই নয়, 'কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমা প্রকাশ, শেহবাজ শরিফের পাকিস্তানের উজির-এ-আজম হওয়ার অল্প দিন বাদে তাঁর এই সফর। কাশ্মীর, জঙ্গিপনার পটভূমিতে এই সিনেমা এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বদল দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উপত্যকার আগামী দিশা যে গণতন্ত্র। আর, সেই গণতন্ত্রে পণ্ডিতদের স্থান থাকবে, একথা কিছুদিন আগেই স্পষ্ট জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির মেন্টর হিসেবেই আরএসএসকে চেনে আপামর ভারত।
আর, তার পরই প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষণা করেছে তার দফতর। বিশেষ করে যেদিন শেহবাজ শরিফ পালটা টুইটে জানিয়েছেন, কাশ্মীর-সহ যাবতীয় বিষয়ে তাঁরা শান্তির পথেই হাঁটতে চান। ভারত বরাবর অভিযোগ করে এসেছে, কাশ্মীরের সন্ত্রাস সীমান্তপারের উসকানি, সীমান্তপার থেকে তৈরি হয়ে ভারতে যার প্রবেশ। আর, সেখানেই ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- খুচরো বাজারে রোখা যাচ্ছে না মূল্যবৃদ্ধি, মানল সরকার, আশঙ্কায় ক্রেতারা
ফলে এখন নতুন লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। কাশ্মীরের তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্রের প্রবেশ ঘটানো। এজন্য উন্নয়নই হাতিয়ার। সেই হাতিয়ারকে বহুদিন ধরেই শান দিচ্ছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে ১১ এপ্রিল, সোমবার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কাশ্মীরেরই সন্তান জিতেন্দ্র সিং সাম্বার পল্লি গ্রামে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন করেছেন এই কার্বনমুক্ত সোলার ভিলেজ।
এখানে সৌরশক্তির সাহায্যে বিদ্যুদায়ন সম্ভব হয়েছে। ৩৪০টি বাড়িরই বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে সৌরশক্তি। মাত্র ২০ দিনে 'গ্রাম উর্জলা স্বরাজ প্রকল্প'-এ এখানে ৫০০ কেভি (কিলো ভোল্ট)-র সোলার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। ২৪ এপ্রিল এই গ্রামেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সামনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তুলে ধরবেন গণতন্ত্রের পথে চলা উন্নয়নমুখী এক নতুন কাশ্মীরের বার্তা।
Read story in English