গত বছর (২০২২ সালে) লাদাখ থেকে ডেঙ্গুর দুটি ঘটনা পাওয়া গিয়েছে। লাদাখ, যেখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গাছপালা নেই, সেখানেও কি না মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। এভাবেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ সমস্ত ভারতীয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০১ সালে মাত্র আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করে গিয়েছিল। সংক্রমণের ভূগোল গত দুই দশকে বেড়ে দেশের সব রাজ্যে এখন ছড়িয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ধিত নগরায়ন, তার জেরে পরিবেশ এবং তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ, জল জমে থাকার ঘটনা বৃদ্ধি- সব মিলিয়ে নানা কারণে ডেঙ্গু দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তাদের ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানোর জন্য দুটি বায়োটেক কোম্পানি- প্যানাসিয়া এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে। দুটি টিকাই ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ দ্বারা তৈরি ডিএনএ অদলবদল করে ডেঙ্গু ভাইরাস রুখতে তৈরি করা হয়েছে।
সিরাম ইনস্টিটিউট অবশ্য এখনও ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাতে পারেনি। বয়স্কদের ওপর পরীক্ষা চালানোর পর আইসিএমআরের সাহায্য নিয়ে সিরাম ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা চালাবে বা গবেষণা করবে।
আর, প্যানাসিয়া ইতিমধ্যেই ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি ১০০ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পরে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করতে পারে। ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি ১০,৩৩৫ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ওপর দেশের ২০টি জায়গায় এই পরীক্ষা চলবে।
আরও পড়ুন- কৃত্রিম মিষ্টি কি ক্ষতিকারক? কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
চটপট ভ্যাকসিন বানিয়ে করোনা রোধে বড় সাফল্য পেয়েছে ভারত। এবার ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হয়ে গেলে তেমনই বড় সাফল্য পাবে এই দেশ। যা মোদী সরকারের জমানার বড় কীর্তি হয়ে থাকবে চিরকাল।