ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ না হলে যৌন নিগ্রহ বলা যাবে না। এমন রায় দিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন বিচারপতি পুষ্পা ভি গনেড়িওয়ালা। তার পর গঙ্গা দিয়ে বিতর্কের বহু জল গড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই বিচারপতিই মেয়াদ শেষ হওয়ার দুদিন আগেই পদত্যাগ করলেন। বম্বে হাইকোর্ট তাঁকে স্থায়ী বিচারপতির মর্যাদা দিতে অস্বীকার করায় অভিমানে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সিদ্ধান্ত নেয়, বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে গনেড়িওয়ালার নাম বিবেচিত হবে না। তার কারণ, শিশু যৌন নিগ্রহে পকসো আইনে তাঁর দুটি রায় নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত কলেজিয়ামের ক্ষেত্রে বিরল। এর ফলে ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মেয়াদ শেষ হতেই গনেড়িওয়ালাকে আবার জেলা বিচারবিভাগে পাঠানো হত।
গত ২০১৯ সালে কলেজিয়াম তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বিতর্কত পকসো রায় নিয়ে অসন্তুষ্ট কলেজিয়াম তার সিদ্ধান্ত পাল্টায় এবছর।
আরও পড়ুন হিজাব মামলা: ‘জাতীয় ইস্যু বানাবেন না’, জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
গনেড়িওয়ালার বিতর্কিত রায়ের একটি ছিল, পকসো আইনের সাত নম্বর ধারায় যদি নির্যাতিত শিশুর সঙ্গে অভিযুক্তের ত্বকের স্পর্শ না হয় বা সরাসরি শারীরিক সম্পর্ক না হয় তাহলে তাকে যৌন নিগ্রহ বলা হবে না। পরে এই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই কলেজিয়াম তাঁকে নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৬৯ সালে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন গনেড়িওয়ালা। ২০০৭ সালে জেলা বিচারক নিয়োগ হন তিনি। ২০১৯ সালে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। সেখান থেকে আর তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি করা হচ্ছে না। তাই পদত্যাগই করে দিলেন বিচারপতি।