টেলিকম বিভাগকে ফের আধার পুনঃ-যাচাই না করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত টেলিকম অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে যে KYC তথ্য নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আধার কার্ড নম্বরের যাচাই করা বন্ধ করতে হবে। তবে গ্রাহকরা পরিচয় পত্র হিসাবে আধার কার্ড জমা দিতে চাইলে সংস্থার কিছু বলার থাকবে না।
টেলিকম অপারেটরদের প্রকৃত যাচাইয়ের জন্য পূর্ববর্তী যে প্রক্রিয়া ছিল তা চালু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে বায়োমেট্রিক তথ্য নিতে হবে গ্রাহকদের থেকে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) প্রাথমিকভাবে টেলিকম অপারেটরদের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আধার ভিত্তিক প্রমানীকরণ ব্যবস্থা বন্ধ করার পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে অপারেটররা অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল। টেলিকম বিভাগ সার্ভিস প্রোভাইডারদের এই আধার নম্বর যাচাই বন্ধ করে দেওয়ার প্রতি সম্মতি জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
২৬ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হচ্ছে। তবে আধার আইনের বেশ কিছু ধারা বাতিল করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইউনিক আইডি না থাকলে কোনও ব্যক্তিকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আধার আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কংগ্রেস। বেসরকারি সংস্থা আর চাইতে পারবে না আধার। ২০১২ সালে আধারের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম মামলা করেছিলেন কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে এস পুট্টাস্বামী। তিনি বলেছিলেন, আধার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আধার ভিত্তিক প্রমানীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত গ্রাহকরা তাদের কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে নতুন তথ্য সরবরাহ করতে পারেন। এর আগে টেলি যোগাযোগ দপ্তর ও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা তাঁদের পূর্বনির্ধারিত পরিচয় প্রমাণের পরিবর্তে অন্য কোনও প্রমাণপত্র জমা করতে পারেন।
Read the full story in English