জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে হিন্দু ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ওই রাজ্যের সংখ্যালঘু মন্ত্রী নবাব মালিক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর মন্তব্য এ দিন বিধানসভাসভায় তুলে ধরেন। এবং কালীয়াচরণের গ্রেফতারের দাবি জানান।
রবিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে একটি 'ধর্ম সংসদ' অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মগুরু কালীচরণ। তিনি বলেছেন, "রাজনীতির মাধ্যমে দেশ দখলই ইসলামের লক্ষ্য। আমাদের চোখের সামনে তারা ১৯৪৭ সালে (ভারত ভাগের উল্লেখ করে) দখল করেছিল… এর আগে তারা ইরান, ইরাক এবং আফগানিস্তান দখল করে। তারা রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানও দখল করেছে। আমি নাথুরাম গডসেকে স্যালুট জানাই, কারণ তিনি গান্ধীকে হত্যা করেছেন।"
এরপরই কংগ্রেস নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কালীচরণের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে অভিযোগ দায়ের হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০২/২ ধারা (জাতি বিরোধ ও বিরোধে ইন্ধন ঘটানো) ও ২৯৪ (অশ্লীল কার্যকলাপ) ধারায় এফআইআর দায়ের হয়।
কিন্তু সেখানেই এর সমাপ্তি ঘটেনি। এ দিন মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু মন্ত্রী নবাব মালিক কালীচরণের মন্তব্যের বিষয়টি বিধানসভায় তোলেন। জানান ওই ব্যক্তি সে রাজ্যের আকোলার বাসিন্দা। কালীচরণের গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক সুধীর মুঙ্গান্তিওয়াড় জানতে চান, কেন মহারাষ্ট্র সরকার কালীচরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না?
এরপরই মালিককের দাবিকে সমর্থন করেন বিধানসভার দুই কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাটোলে ও বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার। গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য হিন্দু ধর্মীয়নেতা কালীচরণের বিরুদ্ধে বিধানসভার অধ্যক্ষকে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশের আবেদন জানান।
যার প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, 'সরকারে কাজ পদক্ষেপ করা। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার রিপোর্ট চেয়েছে, খতিয়ে দেখে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
Read in English