রবিবার গোমাংস বিক্রেতা সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হয় একজনকে। বেদম মারে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও দু জন। এই নৃশংস কাজের পিছনে রয়েছে স্থানীয় গোরক্ষক নজরদারি বাহিনীর হাত। মনে করছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ডের খুঁটির জলটাঙা গ্রামে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রবিবার ওই তিন ব্যক্তি গরুর দেহ নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। কলন্টাস বার্লা, ফাগু কচ্ছপ ও ফিলিপ হোরো নামে তিন ব্যক্তিকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কলন্টাস বার্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন: ২৭অভিযোগ, ৩ এফআইআর
এই ঘটনায় জখম ফাগু কচ্ছপ ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে জানান, 'মাঠে কাজ করছিলাম। সেই সময়ই একদল মানুষ এসে মারধর শুরু করে ও বলতে থাকে আমি গরু পাচারকারী। প্রচণ্ড মার খাওয়ার পর আমার আর কিছু মনে নেই। পরে পুলিশ আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি।'
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Today: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে
পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনকে প্রাথমমিকভাবে হামলা ও হত্যাকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, জনা পনেরো জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। গোরক্ষক নজরদারি বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খুঁজে বার করতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান জলতন্দার গ্রামবাসীদের একাংশ। বিক্ষোভরত রুপাম ও সুকরপমা দেবীর অভিযোগ, অভিযুক্ত গোরক্ষকরা কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন। কোন কিছু খতিয়ে না দেখেই আমাদের স্বামী ও ছেলেদের জেলবন্দি করা হয়েছে। উপস্থিত সকলেরই একই অভিযোগ।
Read the full story in English