জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করার পর আগস্ট থেকেই আটক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। এবার ফের জন সুরক্ষা আইন (পিএসএ) লাগু করে তাঁদের আটককে দীর্ঘায়িত করল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। ওমর আবদুল্লার বাবা তথা জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে ইতিমধ্যেই এই একই আইনের বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি এনসি-এর সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর এবং পিডিপি নেতা সরতাজ মাদনিকেও পিএসএ আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, শাহ ফয়সলকেও এই জন সুরক্ষা আইনের দ্বারা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসের জন্য মুসলিমরা ভোটব্যাঙ্ক, আমাদের জন্য তাঁরা ভারতীয়’, সংসদে সুর চড়ালেন মোদী
প্রসঙ্গত, এই জনসুরক্ষা আইনের দ্বারা কাউকে বিনা বিচারে টানা তিন মাস আটক করে রাখা যায়। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশের এক ঊর্ধতন কর্তা নিশ্চিত করে বলেন, "যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদ্বয় আলি মহম্মদ সাগর এবং সরতাজ মাদনির নামে জনসুরক্ষার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা স্পেশাল সিকিউরিটির গ্রুপের আওতাধীন রয়েছেন। আমরা এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে পিএসএ-এর পরোয়ানা পাইনি।" তবে সূত্রের খবর, দীর্ঘকাল ধরে প্রতিরোধমূলক আটকে রাখার জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন লাগু করতে চাইছে সরকার।
এদিকে, মুফতির কন্যা ইলতিজা মুফতি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে পিএসএ-র অধীনেই মামলা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই ইলতিজা টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, “মিসেস মুফতি কিছুদিন আগে পিএসএ অর্ডার পেয়েছিলেন। দেশে এমন এক স্বৈরাচারী শাসন চলছে, কিন্তু আর কতদিন?"
আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথকে শোকজ নোটিস কমিশনের
প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের আটক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘৩৭০ ধারা রদের পরই বিরোধিতা শুরু হয়েছিল। ফলে অশান্তি এড়াতেই এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রায় চার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। প্রায় হাজর জন একনও জেলবন্দি। পাথর ছোঁড়ার অপরাধে আটশ জন জেলে রয়েছে।’ অমিত শাহেরর মতে, ৩৭০ ধারা জন্যই কাশ্মীরজুড়ে এতদিন খুনখুনি হয়েছে। তাই এই ধারা রদ করা হয়েছে। কিন্তু এর পরও অশান্তির আশঙ্কা ছিল। যা দূক করতেই জন সুরক্ষা আইনের প্রয়োগ। প্রাণ যাওয়ার চেয়ে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হয়েছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Read the full story in English